চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন এবং সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে গৃহযুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, তিনি শেখ হাসিনা কারো প্রতি অনুশোচনা দেখাননি; বরং তাদেরকে ধমক দিয়ে হত্যা ও বাড়িভাঙার হুমকি দিয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও বরজ্জনকভাবে ‘অ্যাপ্রুভার’ হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। প্রসিকিউটর জেলা করেন, দেশের প্রেমিক সেনাবাহিনী ও জনগণ উসকানিতে পা দেয়নি এবং বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলবে বলে জানান।
ট্রাইব্যুনালের মঞ্চে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম কাঁটাতার-সরাসরি ভাষায় আঘাত করেন: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রজীবনের কাঁধে ছড়ানো বিশৃঙ্খলার তোপ গঠন করার চেষ্টা করেছেন—সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধে টেনে নেবার ছক কষেছেন। তাজুল বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের কোনো অনুশোচনার ছাপ নেই; বরং প্রত্যক্ষকৃত গুম, হত্যার হুমকি, বাড়িঘর ধ্বংস করার কল্পনা—এসবই তাঁর কথায় প্রকাশ পায়। মামলায় দ্বিতীয় আসামি আসাদুজ্জামান খান; তৃতীয় আসামি আইজিপি হিসেবে দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন যিনি আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ হয়েছেন। প্রসিকিউটরের বক্তব্যে তিনি বার করেন, জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনী উসকানির ফাঁদে ছোঁয়া দেননি বিচার প্রক্রিয়া আগেভাগেই এগিয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আজ দাখিলকৃত যুক্তিতর্কে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সংস্থার মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কৌশল গ্রহণ করেছেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীকে উস্কে দিয়েছেন। প্রসিকিউটর উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির (শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান) মধ্যে কোনো অনুশোচনা খুঁজে পাওয়া যায়নি; বরং তারা সাক্ষ্যদাতাদের বিরুদ্ধে হুমকিমূলক উক্তি ও জানমাল ধ্বংসের আভাস দিয়েছেন। মামলার তৃতীয় অভিযুক্ত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, আদালতে ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসাবে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন। প্রসিকিউটর সমাপ্তিতে বলেন যে, জাতীয় ও সৈনিক সংগঠনগুলো মামলাকে বিচারের মুখে আনার অঙ্গীকারে দৃঢ় ও ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখছে।