প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রেপ্তার নন, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলেন সেনা কর্মকর্তারা

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি—তারা নিজেরাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এমন দাবি করেছেন তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তিনি বলেন, ‘এসব সিনিয়র ও অভিজ্ঞ সামরিক কর্মকর্তা ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থাশীল হয়ে ট্রাইব্যুনালে এসেছেন। তারা আশা করেন, আদালতের মাধ্যমেই তারা সুবিচার পাবেন।’

ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন জানান, প্রক্রিয়াগত কারণে তাদের “গ্রেপ্তার” দেখানো হলেও বাস্তবে তারা কখনোই গ্রেপ্তার ছিলেন না। সেনা সদর দপ্তরও জানিয়েছিল, তারা সেনা আইনের আওতায় ‘আর্মি এটাচমেন্টে’ ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে আমরা তিনটি আবেদন দাখিল করেছি—জামিন, কমিউনিকেশন প্রিভিলেজ ও সাব-জেলে রাখার আবেদন। এর মধ্যে সাব-জেলের বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

আইনজীবীর দাবি, প্রকৃত অপরাধীরা জেনারেল কবির, জেনারেল আকবর ও তারেক সিদ্দিকী দেশ ত্যাগ করেছেন। অথচ তার মক্কেলরা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজেরাই আত্মসমর্পণ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘একজন রাজসাক্ষী (সাবেক আইজিপি) স্পষ্ট করেছেন ঘটনাগুলো প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শেখ হাসিনার নির্দেশে ঘটেছে, এসব কর্মকর্তার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’

তার ভাষায়, ‘যারা নিজের ইচ্ছায় আইনের কাছে আসেন, তাদের সাহস ও সততা প্রমাণ করে যে তারা নির্দোষ। আমার মক্কেলরা আত্মপক্ষ সমর্থনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের সামনে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবেন এবং নিশ্চয়ই ন্যায়বিচার পাবেন।’

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় বুধবার সকাল ৭টার পর ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়