আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সমঝোতার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি জানিয়েছে, সমমনাভিত্তিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আসন নির্ধারণ করে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (তারিখ) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, “আমরা আটটি ইসলামী দলের সঙ্গে আলোচনা করছি। জোট নয়, বরং সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী দেব যে আসনে একটি দল প্রার্থী দেবে, অন্যরা সেখানে দেবে না।”
ইসলামী দলগুলোর বাইরেও আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি। “আমাদের সঙ্গে অন্য দলগুলোও যুক্ত হতে পারে,” যোগ করেন হামিদুর রহমান আযাদ।
আগামী নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেব। তবে সরকারের সিদ্ধান্তকেও আমরা সম্মান করব। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে দলটি তাদের ১৮টি প্রস্তাবের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত জানিয়েছে। প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালট ও রেজিস্ট্রেশন অ্যাপসের জটিলতাও বৈঠকে তুলে ধরা হয়।
গণভোটের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কেবল অধ্যাদেশ নয়, দ্রুত আদেশ জারি করতে হবে। গণভোট সেই আদেশকে জনসমর্থিত ও শক্তিশালী করবে।”
তিনি আরও জানান, আটটি ইসলামী ও দেশপ্রেমিক দল বর্তমানে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে এটিকে তিনি ‘সংস্কার ও নির্বাচনী পরিবেশ পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে কোনো আলোচনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “জাপা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত।”
জামায়াত সরাসরি জোটে নয়, বরং ইসলামী ও সমমনাভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী দেবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। পাশাপাশি গণভোট, নির্বাচনী সংস্কার ও ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে।