ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন বিক্রিতে বেশ চাঙা সূচনা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরুর মাত্র আট দিনে দলটি এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১১টি ফরম বিক্রি করেছে। শুরুতে নির্ধারিত সময় শেষ হলেও প্রার্থীদের আগ্রহের কারণে বিক্রির সময় আরও সাত দিন বাড়িয়ে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি জানান, দলটি তিন হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর ভাষায়, ‘আগামী কয়েক দিনেই আমরা ইনশা আল্লাহ তিন হাজারের লক্ষ্যটা ছুঁতে পারব।’
দলীয় এই নেতা বলেন, জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিদেরই সংসদে পাঠানোর উদ্দেশ্যে এনসিপি মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, বিভিন্ন পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, আলেম-ওলামা, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কাছ থেকে তারা ভালো সাড়া পেয়েছেন। মানুষের এই আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখেই মনোনয়ন বিক্রির সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইচ্ছুক প্রার্থীরা বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় এসে সরাসরি ফরম কিনতে পারবেন। পাশাপাশি অনলাইনেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সুবিধা রাখা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদকর্মীদের প্রতিও একটি আলাদা আহ্বান জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, যারা মনে করেন সংসদে গিয়ে সাংবাদিকদের মজুরি, মালিকদের চাপ, শোষণ–নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলতে চান, তারাও এনসিপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুরো বাংলাদেশকে জানাতে চাই—আমরা দক্ষ, সৎ ও যোগ্য মানুষদের সংসদে পাঠাতে চাই। কোনো গডফাদার, চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসীর জায়গা আমাদের দলে নেই। আমরা চাই, কিছু ভালো মানুষ সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করুক।’
গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় একই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র বিতন কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। তবে জুলাই যোদ্ধা (মুক্তিযোদ্ধা বোঝালে এখানে সেই অর্থেই) এবং স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ফরমের দাম রাখা হয়েছে ২ হাজার টাকা।