প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২৫, ০৩:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ইয়াসিন আরাফাত সজিব বাঁচতে চায়

জুনায়েদ কামাল - স্টাফ রিপোর্টার 

নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের আবুয়াডগী গ্রামের মহিন ড্রাইভারের বাড়ির শরিফুল ইসলামের বড় ছেলে ইয়াসিন আরাফাত সজিব ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গর্ভাবস্থায় থেকে সন্তানকে নিয়ে কত ভাবনা আর পরিকল্পনাই না থাকে প্রতিটা বাবা মায়ের। 

সেই কাঙ্খিত সন্তান যদি হঠাৎ মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হয়, তখন প্রতিটা বাবা মায়ের মানসিক অবস্থা কতটা ভয়াবহ হয়, তা ভাবতেই ঘা শিউরে ওঠে।

কর্ম জীবনটা ভালোই যাচ্ছিলো শরিফের। স্ত্রী জেসমিন ও তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে খুব সুখেই কাটছিল দিন। সুখের সংসারে হঠাৎ দুঃখের ছায়া নেমে আসে সজিবের ব্রেইন টিউমারে। সজিবের চিকিৎসার খরচে সহায় সম্বল সব হারিয়ে আজ শরিফুল পথের ভিখারি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইয়াসিন আরাফাত সজিব পশ্চিম চরমটুয়া দারুল উলুম মহিউস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। রমজানের শুরুতে সজিব শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে প্রথমে তাকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে মাথায় সিটিস্ক্যান করতে নির্দেশ দেন। সিটিস্ক্যানে সজিবের মাথায় ব্র্যান টিউমার ধরা পড়ে। এমন খবর শুনে যেনো হঠাৎ আসমান ভেঙে পড়ে শরিফুলের মাথার উপর। সন্তানকে বাঁচাতে পাগলের ন্যায় ছুটে যান ঢাকা শহরে। সজিবের চিকিৎসক জানিয়েছেন তার ব্র্যান টিউমার হওয়ায় মাথায় করতে হবে দুটি অপারেশন। লাগতে পারে নয় থেকে দশ লাখ টাকা।

কোথায় থেকে এতো টাকা সংগ্রহ করবেন শরিফুল। দিশেহারা হয়ে ছুটতে থাকেন অবলিলায়। নিরুপায় হয়ে সন্তানকে বাঁচাতে দেশ-বিদেশের সবার সহযোগিতা চান।

যোগাযোগের ঠিকানা - মোঃ শরিফুল ইসলাম। সুলতান মাঝির দোকান সংলগ্ন, আবুয়াডগী ৩ নং ওয়ার্ড, ১৯ নং পূর্ব চরমটুয়া, সদর, নোয়াখালী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়