মুকুল হোসেন
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি টিআর, 'টেস্ট রিলিফ 'অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প চেয়ারম্যান চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬ নং সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছাঃ মমতা খাতুন এর বিরুদ্ধে।
কাজ না করেই টিআর কাবিখার সাট হাজার টাকা আত্মসাৎ!
অভিযোগে জানা যায়, কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, আংশিক কাজ করে প্রকল্পের সমুদয় অর্থ উত্তোলন, তবে খাতা কলমে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হলেও এসব প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতকয়া বরর্শী ভাঙ্গা কবরস্হান হইতে বাদশা মাষ্টার এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কর কাজ উন্নয়নে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ বিশ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের ব্যাপারে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্টরা।
রাস্তাটির মেরামতের কাজ পরিচালনা তিন সদস্যের কমিটির মো.মোকলেছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সরেজমিন বার্তা কে জানান, এই রাস্তায় ৩০ গাড়ি মাটি ফালানো হয়েছে,
রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন হ্যা কাজ শেষ হয়েছে এবং মেম্বর আমার কাছ থেকে সাক্ষরও করে নিয়েছেন। আরেক সদস্য মোঃ খলিললুর রহমান জানান আমি শুনেছি একাত্তর হাজার টাকার কাজ হয়েছে, আরেক সদস্য হাবিবা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রথম দিন বিশ গাড়ি মাটি ফেলানো হয়েছে দ্বিতীয় দিন ১২ গাড়ি মাটি রাস্তায় ফালানো হয়েছে আমি এতোটুকুই জানি।
এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা সরকার এখানে রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দিলেও এখানে সেটার কাজ হয়নি
শুধু ৩০ গাড়ি মাটি ফালানো হয়ছে আর ৩০০
ইটের একটা গাইডওয়াল দিয়েই কি এক লাখ বিশ হাজার টাকা শেষ করেছে।
আর এনিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন।
এমন অবস্থা উপজেলার সাতকয়া গ্রামে রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের টিআর এর লুটপাট হয়েছে প্রকল্পের অর্থ। রাস্তা ঘষামাজা করে উত্তোলন করারচেষ্টা করছে বিল। এসব উন্নয়ন বরাদ্দ আত্মসাৎকারীর বিচার চান স্থানীয়রা।
অভিযোগের বিষয়ে মহিলা মেম্বার মমতার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তার স্বামী জোস্না বলেন এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার একটা টি আর
প্রকল্প পেয়েছি সেটার ৭০ হাজার টাকার কাজ করেছি।
টিআর ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার আব্দুর রাজ্জাক তার কাছে জানতে চাইলে তিনি সরেজমিন বার্তাকে জানান এরকম অভিযোগ আমাদের কাছেও তো দিতে পারতো,আপনি যেহেত বললেন আমি ওখানে গিয়ে বিষয়টি জানবো।
উক্তবিষয়ে
এলাকার সচেতন মহল উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।