প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এসএএইচআরের পর্যবেক্ষণে

আইনশৃঙ্খলার টানাপোড়েনের ছায়ায় শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের শঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে

প্রায় পাঁচ দিন বাংলাদেশ ঘুরে ও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেশের মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের কর্মকর্তারা। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর পান্থপথে দৃকপাঠ ভবনে

অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাস্তবতায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, নারীসহ নানা গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ ও মব সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর)। সংগঠনটি মনে করে, অযৌক্তিক হত্যা মামলা, জামিন থেকে বঞ্চনা, দীর্ঘসূত্রতা ও বিচারে জটিলতা মানুষের নিরাপত্তাহীনতাকে আরও তীব্র করছে।
এসএএইচআরের মতে, এ পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের সম্ভাবনাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। তাই সংকট সমাধানে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনে দ্রুত নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা এখন সময়ের দাবি।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত ‘আ ইয়ার অব ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের বিশ্লেষণ ও সুপারিশ তুলে ধরেন সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর)–এর নির্বাহী পরিচালক দীক্সা ইল্লাঙ্গাসিংহে।
সংগঠনটির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে এসে মানবাধিকার পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে। সফরকালে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসব অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়নের সারসংক্ষেপ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন দীক্সা ইল্লাঙ্গাসিংহে।

দীক্সা ইল্লাঙ্গাসিংহে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বাগ্রে দায়িত্ব হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এ জন্য সংবিধান, বিচারব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে তাৎক্ষণিক সংস্কার অপরিহার্য।
তিনি সতর্ক করে দেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তাদের উপাসনালয় ও সম্পদ রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। হিন্দু, আহমদিয়া, সুফি অনুসারী, সমতল ও পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী, লিঙ্গভিত্তিক সংখ্যালঘু এবং নারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও সংগঠিত জনতার পরিকল্পিত হামলা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলছে।

সংবাদ সম্মেলনে এসএএইচআর নয়টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ও শঙ্কার বিষয় তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে স্বৈরশাসন আমলে তৈরি দমনমূলক আইনের ধারাবাহিক ব্যবহার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় লাগাতার হস্তক্ষেপ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশনের কার্যত অচল হয়ে পড়া এবং নাগরিক সমাজের ভেতর বাড়তে থাকা বিভাজন ও মেরুকরণ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কো–চেয়ারপার্সন রশমি গোস্বামী, সদস্য সারূপ ইজাজ এবং বাংলাদেশ ব্যুরোর সদস্য সাঈদ আহমেদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়