আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ঢাবিতে শুরু হয়েছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ, তবে রাজনৈতিক উত্তেজনাও লক্ষণীয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ আপডেটগুলো এক নজরে
ভোট কারচুপির অভিযোগ: স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক প্রার্থী রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যার অভিযোগ— টিএসসিতে কিছু ব্যালটে আগে থেকেই ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের নামের পাশে ক্রস দেয়া ছিল। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভোট দিতে সময় লাগছে গড়ে ৬ মিনিট।
একজন পোলিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে— তিনি এক শিক্ষার্থীকে ভুলে দুটি ব্যালট দেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
“সুষ্ঠু ভোট হলে ফল মেনে নেব”— এমন মন্তব্য করেছেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন এস এম ফরহাদ (জিএস পদপ্রার্থী, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)।
অমর একুশে হলের এজিএস প্রার্থী অর্ক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মতে, ডাকসু ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের নতুন ট্রেনে উঠেছে।
ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করেছেন, তার একজন পোলিং এজেন্টকে এক কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান শিক্ষার্থীদের বিবেক খাটিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাগছাস সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেছেন, শুধু ছাত্রদল নয়, ছাত্রশিবিরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে।
আবু বাকের মজুমদারের প্রত্যাশা— শিক্ষার্থীরা যে রায় দেবেন সব প্রার্থী সেটি মেনে নেবেন।
ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম আশা প্রকাশ করেছেন, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থীদের প্রতি আস্থা রাখবেন ভোটাররা।
ছাত্রদল সমর্থিত জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামীম বলেছেন, ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক।
বিভিন্ন কেন্দ্রে ছাত্রীদের দীর্ঘ লাইন পড়েছে।
নির্বাচনের পরিসংখ্যান
ভোটার সংখ্যা: ৩৯ হাজার ৬৩৯ জন
ডাকসুর পদ: ২৮টি
মোট প্রার্থী: ৪৭১ জন
সহ-সভাপতি প্রার্থী: ৪৫ জন
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী: ১৯ জন
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, স্বচ্ছ ভোট গণনার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সরাসরি ভোট গণনার অগ্রগতি দেখা যাবে।
১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ডাকসুর ৩৭তম নির্বাচন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর।