ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলায় সীমানা পরিবর্তনকে ঘিরে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন-অবরোধ চলছে। বিষয়টি ‘জনগণের আন্দোলন’ উল্লেখ করে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আন্দোলনের মধ্যেই সহিংসতায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ, ইউএনও কার্যালয়সহ অন্তত ২০টি সরকারি দপ্তর এবং দুটি থানা। হাইওয়ে পুলিশের একাধিক গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর হওয়ায় তাদের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ শেষে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “যারা ফ্যাসিস্ট, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছি।”
চিঠিতে ডিসি উল্লেখ করেন, হঠাৎ সীমানা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪ আসনের সাধারণ মানুষই ক্ষুব্ধ হয়েছেন, যা আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি তৈরি করছে। তাই আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফের ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তোলা হয়েছে—
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয়রা।