প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনা মামলায় আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির নাহিদ

ফাইল ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতে হাজির হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তিনি সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে। মামলার সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে তাকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আংশিক জবানবন্দি প্রদান করেছিলেন নাহিদ।

জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন—গত বছরের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ ও ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ আখ্যা দিয়ে কোটাপ্রথার পক্ষে অবস্থান নেন। নাহিদের ভাষ্য, এ বক্তব্যই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের বৈধতা হিসেবে কাজ করেছিল। এর ফলে ছাত্রসমাজ অপমানিত বোধ করে এবং পরের রাতেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন যে ছাত্রলীগই আন্দোলন প্রতিরোধে যথেষ্ট। পরদিন ১৬ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ ডাকা হলে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ অন্তত ছয়জন নিহত হন। ১৭ জুলাই ডিজিএফআই বিক্ষোভ প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং রাতে দেশজুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ১৮ ও ১৯ জুলাই পরপর দুদিন ছাত্র-জনতা সড়কে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় ব্যাপক দমন-পীড়ন, গুলি ও ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা ঘটে। বহু শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হতাহত হন।

নাহিদের মতে, ১৯ জুলাই থেকে সরকার পুরোপুরি ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে নেয়। ফলে আন্দোলনের খবর প্রচারে বাধা সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, একই মামলার ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে ‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দির জেরা শেষ হয়েছে। তিনি গত সোমবার ও মঙ্গলবার সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আল-মামুন ইতোমধ্যেই ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এবং আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসিকিউশন জানিয়েছে, নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে শুনানি সমাপ্তির পথে এগোবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়