প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারে বন্ধ হচ্ছে লাইফগার্ড সেবা, বেড়ে যাচ্ছে পর্যটকের ঝুঁকি

আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই)–এর অর্থায়নে ২০১২ সাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সি-সেফ লাইফগার্ড সেবা চালু ছিল। গত ১২ বছরে মাত্র ২৭ জন লাইফগার্ড কর্মী প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ৮০৭ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু তহবিল সংকটের কারণে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে

এরপর ১ অক্টোবর থেকে সৈকতে নামা পর্যটকদের জন্য থাকবে না কোনো লাইফগার্ড নজরদারি বা উদ্ধার ব্যবস্থা। এতে বাড়বে দুর্ঘটনার আশঙ্কা, পাশাপাশি চাকরি হারাবেন ২৭ জন লাইফগার্ডসহ মোট ৩৫ জন কর্মী।

সুপারভাইজার সিফাত সাইফুল্লাহ জানান, চলতি বছরেই ১১ জন পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন, একই সময়ে ভেসে যাওয়া আরও ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর লাবণী পয়েন্টে নিখোঁজ হন বগুড়ার এক কলেজছাত্র, যিনি পরদিন মৃত অবস্থায় পাওয়া যান।

হোটেলমালিকদের হিসাবে প্রতিবছর অন্তত ৭০ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। কিন্তু পাঁচ কিলোমিটারের বাইরে আরও ১১৫ কিলোমিটার সৈকত সব সময় অরক্ষিত রয়ে গেছে। এখন মূল পাঁচ কিলোমিটার এলাকাতেও নিরাপত্তাহীনতায় পড়বেন ভ্রমণকারীরা।

আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হলেও অর্থের জোগান না থাকায় সেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মাসে প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, হোটেলমালিকদের অর্থায়নে লাইফগার্ড সেবা চালু রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে হোটেলমালিক সমিতি বলছে, এত বড় ব্যয় মেটানো তাদের পক্ষে কঠিন।

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি উদ্যোগ ছাড়া এই সেবা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। লাইফগার্ড সেবা বন্ধ হলে কক্সবাজারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, অক্টোবর থেকে সৈকতে পর্যটকের জীবনরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়