প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সালমান শাহর শেষ মোবাইল আজও অদৃশ্য কেন?

প্রয়াত ঢালিউড নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুকে ঘিরে ২৯ বছর ধরে রহস্য ও বিতর্কের খেলা চলছে। যদিও সাবেক স্ত্রী সামিরা হক মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দাবি করেছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নায়কের মামা আলমগীর কুমকুম  বিশেষ সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।

তিনি বলছেন, সালমান শাহর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত অনেক রহস্যময় বিষয় আজও স্পষ্ট হয়নি। যেমন:

  • মৃত্যুর আগে ব্যবহৃত তার মোবাইলটি কেন পাওয়া যায়নি,
  • শেষ কয়েক দিনের কলরেকর্ড কোথায়,
  • ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সিগারেট কার,
  • বাথরুমে ভেজা কাপড়ের রহস্য,
  • জানালার গ্লাসে আঙুলের ছাপ এবং পাশের ফ্ল্যাট থেকে সন্দেহভাজন মারামারি দেখার কথাগুলো।
  • সালমান শাহর মৃত্যুর পর যখন প্রথম ফ্ল্যাট খোলা হয়, তখন ডিপিডিসি বজলুর করিম এবং পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রথমে ফাঁসির দড়ির মাপ নেন। নায়ক যেভাবে ঝুলছিলেন এবং গলায় ফাঁসির দাগ অনুযায়ী পরিমাপ করলে দেখা যায়, তাঁর পা মাটিকে স্পর্শ করছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠে সালমান শাহ কীভাবে মৃত্যুবরণ করতে পারলেন?
  • ফ্যানে ঝুলতে দেখার পর সামিরা বলেছিলেন, সে রশি কেটে সালমানকে নামায়। তারপর তাকে গোসল করিয়ে শরীরে তেল মালিশ করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠে, এটি কীভাবে সম্ভব? পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন এ দৃশ্য দেখে ডাকতে পারত। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করার পরিবর্তে সালমানকে গোসল করানো হলো, এমনকি নতুন হাফ-প্যান্টও পরানো হলো এর কারণ কী?

আলমগীর কুমকুম প্রশ্ন তুলেছেন:

  • কেন মৃতদেহের সঙ্গে তেল মালিশ করা হলো,
  • হাফ-প্যান্ট কেন তাড়াহুড়ায় বদলানো হলো
  • পরিবারের কেউ মারা গেলে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পুলিশ সাধারণত পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং প্রয়োজন হলে রিমান্ডে নেয়। তবে আশ্চর্যের বিষয়, সালমান শাহর হঠাৎ মৃত্যুতে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর কারণে বাড়ির চারজন দুই গৃহকর্মী ডলি ও মনোয়ারা, কাজের লোক আবুল এবং স্ত্রী সামিরা কেও থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এর পেছনের কারণ কী ছিল?

সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার ফ্ল্যাটে মারা যান। দীর্ঘ বিতর্ক ও মামলা শেষে তার অপমৃত্যু মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এই মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার প্রধান আসামি সাবেক স্ত্রী সামিরা হক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়