প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৪২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাকসুর ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণে নেতৃত্ব দেবেন ছাত্রীসমাজ: উমামা ফাতেমা

ছবি: তথ্য ভান্ডার

নারী ভোটারদের অংশগ্রহণকে এবার বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন উমামা ফাতেমা। তাঁর মতে, মোট ভোটারের প্রায় ৪৭ শতাংশই ছাত্রী, আর তাঁরাই নির্ধারণ করবেন ডাকসুর ভবিষ্যৎ গতিপথ। তিনি বিশ্বাস করেন, নারী শিক্ষার্থীদের সক্রিয় উপস্থিতিই এবারের নির্বাচনে ব্যবধান গড়ে দেবে।

শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রচারণা চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জনের মধ্যে ছাত্রী ভোটার রয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।

ডাকসুর ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনায় মূল ভূমিকা রাখবেন ছাত্রীসমাজ—এমন মন্তব্য করেছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা।

মেয়েদের ভোটেই ফল নির্ধারিত হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রীদের সহজে প্রভাবিত করা যায় না। তাঁদের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত চিন্তাভাবনা কাজ করে এবং স্বাধীনচেতা হয়ে ভোট দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফলে এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের ৪৭ শতাংশ ছাত্রী কোন দিকে ভোট দেবেন, তার ওপরই নির্ভর করবে ডাকসুর গতিপথ। উমামা ফাতেমার ভাষায়, “আমার বিশ্বাস, মেয়েরাই এবার ডাকসুতে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার বড় ফ্যাক্টর।”

তবে ছাত্রীদের ভোটকেন্দ্রে আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, অনেকেই বাসায় চলে গেছেন, অনেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি ছুটিতে আছেন। কেউ কেউ আবার ডাকসুকে কেবল রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম মনে করায় ভোট দিতে আগ্রহী নন। এর বাইরে পরিবারের চাপেও অনেক ছাত্রীকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উমামা ফাতেমা মনে করেন, এসব কারণে ভোটকেন্দ্রে ছাত্রীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রীদের ভোটকেন্দ্র হল থেকে দূরে দূরে রাখা হয়েছে, যা ভোটারদের অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে পারে।

উমামা ফাতেমা বলেন, “ছাত্রীরা সবাই যদি ভোট দিতে আসেন, তবে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আমরা আশা করি মেয়েরা গণহারে ভোট দেবেন, আর আমরা তাঁদের সে দিকেই উৎসাহিত করছি।”

তিনি আরও জানান, তাঁদের ইশতেহারে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়কে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি জরুরি। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রসংগঠনের মধ্যে সমন্বিত সামাজিক চুক্তি গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়