জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের দিন থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল অভিযোগ তুলেছে—ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের প্রবেশে নানা অনিয়ম ঘটছে। “কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে, আবার কাউকে আটকে রাখা হচ্ছে” বলেছেন তিনি।
একই অভিযোগ করেছেন ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের এজিএস প্রার্থী ফারিয়া জামান নিকি। তার ভাষায়, শুরুতে অনেক এজেন্টকে বুথে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। এছাড়া ক্যাম্পাসে সাবেক শিক্ষার্থীদের ঘোরাফেরা ও শিবির-সমর্থিত পোস্টার ঝোলানো নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ জন প্রার্থী।
কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলে ভোটারদের হাতে থাকবে ৪০টি ব্যালট। টিক চিহ্ন দিয়ে দেওয়া ভোট বিশেষ ওএমআর মেশিনে গণনা করা হবে।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট আটটি প্যানেল বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র সমর্থিত জোটগুলো। তবে ভিপি পদে কোনো নারী প্রার্থী নেই। জিএস পদে ১৫ জনের মধ্যে মাত্র দুইজন নারী প্রার্থী থাকলেও চারটি পদে একটিও নারী প্রার্থী দাঁড়াননি।