শফিকুল ইসলাম শরীফ রিপোর্টার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর-রাধিকা আঞ্চলিক সড়কের কনিকাড়া এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৯ মে) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কনিকাড়া কবরস্থানের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবীনগরগামী একটি সিএনজি কনিকাড়া কবরস্থানের কাছাকাছি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে সিএনজি ও মোটরসাইকেল দু'টি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। সিএনজি গাড়িটি একাধিকবার উল্টে যায়। এ সময় সিএনজিতে থাকা ছয়জন এবং মোটরসাইকেলে থাকা দুইজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক আকতার খন্দকার (৬৫) নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি নবীনগরের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পুরান শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
আকতার খন্দকারের সঙ্গে থাকা তার শালা নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. বিল্লাল মিয়া (৫৫) এবং তার ছেলে মো. সিয়াম (২২) গুরুতর আহত হন। বিল্লাল মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
এ দুর্ঘটনায় আরও আহত হন সিএনজি চালক মোহাম্মদ আরিফ (ভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও যাত্রী জালাল উদ্দিন (নবীনগর)। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পৌঁছায়। সিএনজি ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে।
আকতার খন্দকারের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একসাথে দুজনের মৃত্যুতে তাদের পরিবার ও গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।