সকলের অবগতির জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকার। মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আট খণ্ডের এই বিস্তৃত প্রতিবেদনে রয়েছে কমিশনের সুপারিশ, ‘জুলাই জাতীয় সনদ’, রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর মতামত, আলোচনা-সারসংক্ষেপ, নথিপত্র এবং জনমত জরিপের ফলাফল। সব খণ্ডই ওয়েবে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া ঐকমত্য কমিশনের আগে ও পরে গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও একই প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন ধাপে এসব কমিশন গঠন করা হয়। প্রথম দফায় গঠিত ছয় কমিশনের কাজ শেষের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরে অপারগতার কারণে দুই কমিশনের প্রধানের পরিবর্তে তাদের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর পর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার ভিত্তিতে ৩১ জুলাই চূড়ান্ত হয় ‘জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫’। ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সনদটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার ইতোমধ্যে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ’ জারি করেছে।