রবিউল ইসলাম সাজু, বগুড়া
বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজকে জাতীয়করণ, হয়রানিমূলক বদলি বাতিল এবং ৬ জন শিক্ষককে কারন দর্শানো নোটিশ থেকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন এবং গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় শহরের সাতমাথায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরাও অংশ গ্রহণ করে । এসময় বক্তব্য রাখেন - সহকারী শিক্ষক মীর মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মান্নান, হাসিব বিন আব্বাস প্রমূখ । অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান। বক্তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তারা বলেন, ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিয়াম মডেল স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০০৫ সালে তারেক রহমানের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন হয়ে এটি ‘বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া’ নামে পরিচিত হয়। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ১১টি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মধ্যে নয়টি জাতীয়করণ হলেও বগুড়ার এই প্রতিষ্ঠানটি বিয়াম ফাউন্ডেশনের অধীনে হস্তান্তর করা হয়। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিতে পরিচালিত হলেও প্রতিবছর আয়ের ২৫ শতাংশ বিয়াম ফাউন্ডেশনকে দিতে হয়। এছাড়া শিক্ষা উপকরণ কেনার নামেও ফাউন্ডেশনকে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা দিতে হয়। ১৮০ জন শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে পদোন্নতি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেন তারা। অবিলম্বে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা। একই দাবীতে গত শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ও করেছেন শিক্ষক - কর্মচারীরা। আগামীকাল ৪ মে রবিবার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ দফতরে স্বারকলিপি প্রদান কর্মসূচীও ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। এদিকে, গত ২৮ এপ্রিল সোমবার থেকে শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে থাকায় টানা ছয়দিন ধরে প্রতিষ্ঠানের পাঠদানকার্যক্রম বন্ধ রয়েছে৷ এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক এবং বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হোসনা আফরোজা বলেন , ' শিক্ষকদের দাবি - দাওয়া থাকলে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সরকারকে জানাতে পারে । কিন্তু পাঠদান বন্ধ রেখে তারা যে আন্দোলন করছে তা তাদের চাকরির বিধিমালা বহির্ভূত।