প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এনটিআরসিএ নিয়োগে বড় পরিবর্তন: লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব, আসছে আরও সংস্কার

এনটিআরসিএ নিয়োগে বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব  বাদ পড়তে পারে লিখিত, আসছে নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি :

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠেছে। শিক্ষক নিবন্ধন ও নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ধাপ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র প্রিলিমিনারি (MCQ) ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আয়োজিত একটি কর্মশালায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা, যিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে তথ্য দেন।

কেন এমন প্রস্তাব?

প্রতি নিয়োগ চক্রে এনটিআরসিএর পরীক্ষায় অংশ নেন ১৫-২০ লাখ প্রার্থী। এত বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা নিয়ে খাতা মূল্যায়ন করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধানে শুধু এমসিকিউ ও ভাইভা ভিত্তিক মূল্যায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে সময় বাঁচবে এবং দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা জানান, এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রশ্ন কঠিন ও মানসম্মত রাখা হবে এবং ওএমআর শিটের মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।

পরীক্ষার কাঠামো নিয়ে ভাবনা:

স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি—এই তিনটি বিভাগে ২০০ নম্বরের পরীক্ষার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

স্কুল ও কারিগরি: ১০০ নম্বর সাবজেক্টিভ, ১০০ নম্বর জেনারেল

মাদ্রাসা: ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ, ৬০ নম্বর জেনারেল

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করছে, এই ভিন্ন কাঠামো বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য তিন বিভাগের জন্য অভিন্ন নম্বর প্যাটার্নের চিন্তাভাবনা চলছে। বিষয়টি এনটিআরসিএ বোর্ড সভায় আলোচনা হবে এবং পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ভাইভা নম্বর যুক্ত করার প্রস্তাব:

নিবন্ধন পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত ভাইভার কোনো নম্বর যুক্ত করা হয়নি। তবে নিয়োগ পরীক্ষার অংশ হিসেবে এবার প্রথমবারের মতো ভাইভার নম্বর যুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়েছে।

মাউশির এক কর্মকর্তা জানান, বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ভাইভা নম্বর যুক্ত থাকে। এনটিআরসিএর ক্ষেত্রেও তা হওয়া উচিত। কারণ লিখিত ধাপ বাদ গেলে ভাইভার মাধ্যমেই প্রার্থীর বাস্তব দক্ষতা ও মেধা যাচাই করা সম্ভব হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

সংক্ষেপে পরিবর্তনের প্রস্তাবগুলো:

  • লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব
  • কেবল প্রিলিমিনারি (MCQ) ও ভাইভা রাখার পরিকল্পনা
  • ভাইভায় নম্বর যুক্ত করার চিন্তা
  • তিন বিভাগের জন্য অভিন্ন নম্বর কাঠামোর সুপারিশ
  • দ্রুত ও কার্যকর নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হওয়ার উদ্যোগ

এই প্রস্তাবগুলো এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে আগামী বোর্ড সভা ও মন্ত্রণালয়ের আলোচনায় বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়