প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এনটিআরসিএর ১৯তম নিবন্ধন নিয়ে বিভ্রান্তি: চেয়ারম্যানের স্পষ্ট বার্তা

আমিনুল ইসলাম ও এনটিআরসিএ লোগো। ছবি:ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশ হবে—এমন দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই তথ্যকে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি বলেন,

 “১৯তম নিবন্ধন কিংবা শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ হয়নি। এ নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তাই ফেসবুকে যা প্রচার হচ্ছে, সেটি গুজব।”

পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব:

এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার লিখিত পরীক্ষা বাদ দিয়ে কেবল প্রিলিমিনারি ও ভাইভা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য অধিক সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ১৫–২০ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। এত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর খাতা মূল্যায়নে সময় লেগে যায়। তাই শুধুমাত্র এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে ওএমআর শিট সহজে মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। তবে প্রশ্ন হবে কঠোর মানসম্পন্ন।

বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন প্রস্তাব: পরীক্ষার মোট নম্বর ২০০ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে—

স্কুল-কলেজ ও কারিগরি বিভাগে: ১০০ সাবজেক্টিভ + ১০০ জেনারেল।

মাদ্রাসা বিভাগে: ১৪০ সাবজেক্টিভ + ৬০ জেনারেল

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এভাবে বিভাজন করলে বৈষম্য তৈরি হতে পারে। এজন্য তিন বিভাগের জন্যই সমান নম্বর কাঠামো রাখার চিন্তা চলছে।

প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে পারে ভাইভা নম্বর

এনটিআরসিএর ইতিহাসে এবারই প্রথম ভাইভার নম্বর অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত না হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ইতিবাচক।

মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, “বিসিএসসহ সব চাকরিতেই ভাইভা নম্বর যুক্ত থাকে। এনটিআরসিএর পরীক্ষায়ও এটি প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এতে প্রার্থীর প্রকৃত যোগ্যতা যাচাই করা সহজ হবে।”

সারকথা:১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ নিয়ে ছড়ানো তথ্য বিভ্রান্তিকর। তবে নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোয় পরিবর্তন ও নতুন নিয়ম যুক্ত করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে, যা শিগগিরই বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়