প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নেপালে ‘জেন-জি বিক্ষোভে’ সংঘর্ষে মৃত ১৯, কারফিউ আরও কঠোর

বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে তাদের তীব্র সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে দুর্নীতি ও সরকারের আরোপিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ‘জেন-জি’ প্রজন্মের বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। সোমবারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন শতাধিক। নিহতদের মধ্যে মাত্র ১২ বছরের এক কিশোরও রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেসবুক, এক্স (টুইটার), ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন হাজারো তরুণ-তরুণী। প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও পরে নতুন বানেশ্বর এলাকায় সংসদ ভবনের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। পাল্টা হিসেবে বিক্ষোভকারীরা গাছের ডাল, জলের বোতল ছুড়ে মারেন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। একপর্যায়ে কয়েকজন বিক্ষোভকারী সংসদ প্রাঙ্গণেও প্রবেশ করেন, যা সহিংসতা আরও বাড়িয়ে দেয়।

সংঘর্ষের জেরে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন কারফিউ জারি করে। নতুন আদেশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ভবন, উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, সিংহ দরবারসহ রাজধানীর বিভিন্ন উচ্চ নিরাপত্তা এলাকায় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল ও সমাবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

‘সোশ্যাল মিডিয়া নয়, দুর্নীতি বন্ধ করো’—এমন স্লোগান দেওয়া বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ‘জেনারেশন জেড’ আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত তরুণদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি অসন্তোষই এই সহিংসতার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিক্ষোভ থামাতে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে শিগগিরই নিষিদ্ধ করা প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়