প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ক্ষমতাচ্যুতির পর থমথমে নেপাল এখনো অস্থিরতায় ভরপুর। রাজধানী কাঠমান্ডু ও আশপাশের শহরগুলোতে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়া অবস্থান নিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে ভরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনারা, চলছে বাড়ি ও যানবাহনে তল্লাশি অভিযান।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নীরব রাজধানীতে নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। সহিংসতায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেকে। সাধারণ নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন থেকে সরে এসে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “জাতীয় ঐতিহ্য, কূটনৈতিক মিশন ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষাই এখন সবার দায়িত্ব।”
মঙ্গলবারের অগ্নিসংযোগে জ্বলে গেছে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন এবং একাধিক মন্ত্রী-এমপির বাড়ি। আগুনে প্রাণ হারান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকার। এর আগেই ক্ষুব্ধ জনতা ওলির বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অপরদিকে মাহোত্তারির জ্বলেশ্বর কারাগার ভেঙে কয়েক হাজার কয়েদি পালিয়ে যায়। পুলিশের তুলনায় বিক্ষোভকারীর সংখ্যা এত বেশি ছিল যে তাদের ঠেকাতে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী।
এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নেপালি জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নেপালের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।