জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে মঞ্চে উঠলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু শুরুতেই তাকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। হলভর্তি বিশ্বনেতাদের একাংশ ও তাদের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান। অপমানজনক এই দৃশ্য তাকিয়ে দেখেন নেতানিয়াহু, তারপর শুরু করেন নিজের বক্তব্য।
গত বছরের মতো এবারও তিনি তুলে ধরেন বিতর্কিত মানচিত্র,“দ্য কার্স” শিরোনামে। কালো মার্কার দিয়ে দেখান ইরান, ইয়েমেন, লেবানন ও সিরিয়ায় ইসরায়েলের হাতে নিহত শত্রু নেতাদের অবস্থান। তার ভাষায়, “ইরাকে মিলিশিয়া নেতারা যদি হামলা চালায়, তাদের ক্ষেত্রেও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে।”
ফিলিস্তিনকে ‘উন্মাদভাবে’ স্বীকৃতি দেওয়ায় পশ্চিমা নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি জুন মাসে ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলি পাইলটদের প্রশংসা করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। ট্রাম্পের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রুখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করার দাবিও করেন।
নেতানিয়াহুর দাবি, “আমরা এমন এক অন্ধকার মেঘ সরিয়েছি, যা লাখো প্রাণকে বিপদে ফেলতে পারত। কিন্তু সতর্কতা হারালে ইরান আবারও সামরিক পারমাণবিক ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। তাই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ধ্বংস করতে হবে, নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনতে হবে।”
এর আগে সাধারণ পরিষদে অংশ নেওয়া বহু বিশ্বনেতা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান এবং ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন। শুক্রবার বক্তৃতা দেন পাকিস্তান, চীন, আয়ারল্যান্ড ও গ্রিসের নেতারাও।