মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের শার্ম-এল-শেখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গাজা ‘শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে’ অংশগ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী অফিস (পিএমও) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মোদির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেনি। এই তথ্য দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি মোদিকে ‘শেষ মুহূর্তের আমন্ত্রণ’ পাঠিয়েছেন।
এর আগে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর নয়াদিল্লিতে মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে গোর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও প্রযুক্তিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করে, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একজন মহান এবং ব্যক্তিগত বন্ধু হিসেবে দেখেন।"
এদিকে, মোদি তার অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। আমি নিশ্চিত যে তার মেয়াদ ভারত-মার্কিন ব্যাপক বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করবে।
শীর্ষ সম্মেলনটি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসি একত্রে সভাপতিত্ব করবেন। এতে প্রায় ২০টি দেশের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। মিশরের প্রেসিডেন্ট দফতর জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে লোহিত সাগরের তীরবর্তী শহর শার্ম আল-শেখে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সভার মূল লক্ষ্য হলো গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষের চূড়ান্ত সমাধান, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার নতুন অধ্যায় শুরু করা।
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-সিসি জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, তুরস্ক, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। এছাড়া, দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সম্মেলনে ইসরাইল ও হামাসের উপস্থিতি নাও হতে পারে।