প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, গাজা যুদ্ধ সমাপ্ত।

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী যুদ্ধে অবসান ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন।

সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ট্রাম্প বলেন, “আকাশ শান্ত, বন্দুক নিঃশব্দ, সাইরেন স্তব্ধ এবং পবিত্র ভূমিতে সূর্যোদয় হয়েছে অবশেষে শান্তি বিরাজ করছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ দুঃস্বপ্নের রাত শেষ হয়েছে।”

ঘণ্টার পর ট্রাম্প মিশরে মুসলিম ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে গাজা ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ ও আঞ্চলিক শান্তি নিয়ে আলোচনা করেন। তবে বৈঠকে হামাস ও ইসরায়েলের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্বে সমঝোতার পর হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে এবং জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের চুক্তি করে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সোমবার হামাস ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয়, আর ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা ২৫০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ও ১,৭০০ এর বেশি গাজা যুদ্ধকালে আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়।

প্রথম পর্বের শান্তি উদ্যোগ সফল হলেও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এখনও সমঝোতা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মিশর, কাতার ও তুরস্ক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখে। সোমবার মিশরের লোহিত সাগর তীরবর্তী অবকাশকালীন শহর শারম আল-শেখে ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তা আল-সিসি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে শীর্ষ সম্মেলন করেন। সম্মেলনের শুরুতেই গাজা চুক্তি স্বাগত জানিয়ে একটি নথিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প, মিশর, কাতার ও তুরস্কের নেতারা।

মিশরের প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানিয়েছে, সম্মেলনে গাজার শাসন, নিরাপত্তা ও পুনর্নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, “এখন পুনর্নির্মাণ শুরু হচ্ছে। এই চুক্তি হতে পারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা।”

তবে ইসরায়েল ও হামাস এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারাও এতে অংশ নেননি। বক্তৃতার এক পর্যায়ে ট্রাম্প ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে অভিবাদন জানান এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

ইসরায়েলের আপত্তি সত্ত্বেও, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়