ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও ইসরাইলি গোলাবর্ষণ। এবার লক্ষ্যবস্তু এক সাধারণ পরিবারের গাড়ি যেখানে ছিলেন শিশু, নারী ও তাদের স্বজনেরা। মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় স্বপ্নের পরিবারটি। নিহত হন ১১ জন, এর মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের গাড়িতে ট্যাংকের গোলা নিক্ষেপ করে ইসরাইলি বাহিনী। পরিবারটি তখন নিজেদের ধ্বংস হওয়া বাড়ি দেখতে যাচ্ছিল।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ‘তাদের সতর্ক করা যেত, বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো নিরস্ত্র বেসামরিকদের রক্তে হাত রাঙাচ্ছে।’
সংস্থাটি জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুই শিশুর দেহাবশেষ এখনো নিখোঁজ।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, কোনো উসকানি ছাড়াই এই হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সংগঠনটি আন্তর্জাতিক মহল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইলকে যেন যুদ্ধবিরতি মানতে বাধ্য করা হয়।
এদিকে গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তাও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।