প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর

ট্রাম্পের দাবি: "আমি জাতিসংঘের চেয়েও বেশি কার্যকর"

ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এক অনন্য কূটনৈতিক মুহূর্তে একত্র হলেন তিন দেশের নেতারা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে তারা স্বাক্ষর করেন এক বহুল আলোচিত ‘শান্তি চুক্তি’, যা তিনি নিজেই আখ্যা দেন “জাতিসংঘের চেয়েও কার্যকর উদ্যোগ” হিসেবে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার (২৬ অক্টোবর) স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ট্রাম্প “ঐতিহাসিক” ও “শান্তির নতুন দিগন্ত” বলে ঘোষণা করেন। জুলাই মাসে দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত সংঘর্ষে রক্তপাতের পর থেকে ট্রাম্প সরাসরি উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বলে জানান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন,

 “কোনো বিরোধ যত কঠিনই হোক, শান্তির পথেই তার সমাধান সম্ভব। এই চুক্তি লাখো মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।”

তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান, শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করার জন্য।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “এই উদ্যোগ আমাদের অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও মানবিকতার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।”

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল জানান, “অস্ত্রসমর্পণ ও যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হবে। এই ঘোষণাই স্থায়ী শান্তির ভিত্তি গড়বে।”

তবে নাম নিয়ে সামান্য বিভ্রান্তিও দেখা গেছে ট্রাম্প একে বলছেন ‘কুয়ালালামপুর শান্তি চুক্তি’, মঞ্চে লেখা ছিল ‘কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড শান্তি চুক্তি’, আর থাই সরকারের অফিসিয়াল ব্রিফিংয়ে একে বলা হয়েছে কেবল “দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যৌথ ঘোষণাপত্র”।

তবুও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ চুক্তি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করেছে আর ট্রাম্পের দাবি, “এই সাফল্য জাতিসংঘকেও পেছনে ফেলেছে।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়