জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আটটি দল আগামী জাতীয় নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে। পাঁচ দফা দাবির পক্ষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
জামায়াতের সঙ্গে সমন্বিত আন্দোলনে থাকা দলগুলো হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি। জুলাই সনদ আইনি স্বীকৃতি, প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে আলাদা করে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই জোট মাঠে নেমেছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট রাজনীতির পরিচিত চিত্র এখন বদলে গেছে জুলাই অভ্যুত্থানের পর। এবার জামায়াত ইসলামী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে পৃথকভাবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আট দলের জোটে অন্যান্য দল যোগ দিতে চাইলে দরজা খোলা থাকবে। আযাদ আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজনের কথা জানালেও একই দিনে দুটি ভোট পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন প্রাপ্ত ভোট অনুসারে নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও ‘সমান সুযোগ’ নিশ্চিত করার দাবি এখন সামনে আনছে আট দল। পাশাপাশি গণভোটে ‘হ্যাঁ’–এর পক্ষে প্রচার পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
নতুন কর্মসূচিতে ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বাদে সাত বিভাগে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রংপুরে শুরু হয়ে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেট হয়ে চট্টগ্রামে শেষ হবে আট দলের এই বিভাগীয় সমাবেশ। এসব সমাবেশে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ সমর্থনের প্রচার জোরদার করা হবে।
পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আট দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
