প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানে ক্রিকেট ম্যাচের মাঝেই মাঠে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত একজন*

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে কাউসার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ধরা পড়েছে।

কাউসার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিস্ফোরণের পর মুহূর্তেই আকাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। জীবন বাঁচাতে আতঙ্কিত মানুষ চারদিকে ছুটোছুটি করতে থাকেন।

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ক্রিকেট ম্যাচ চলার সময় হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একজনের প্রাণহানি হয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার বাজৌর জেলার খার তেহসিলের কাউসার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে পাকিস্তানি গণমাধ্যম *ডন* জানিয়েছে।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াকাস রফিক জানান, হামলাটি আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ব্যবহার করে ঘটানো হয়েছে। তাঁর মতে, এটি পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে পরিচালিত একটি হামলা।
বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলেই এক ব্যক্তি নিহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে, যাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কাউসার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিস্ফোরণের পর চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। আতঙ্কে মানুষজন জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি করতে থাকেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মাঠে হামলার পরপরই হামলাকারীরা কোয়াডকপ্টারের মাধ্যমে একটি থানায় আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল। তবে সৌভাগ্যবশত তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

এখনও পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী বা জঙ্গি সংগঠন এ ঘটনার দায় নেয়নি। তবে পুলিশের ধারণা, জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার পেছনে থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাই থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাজৌর জেলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে **‘অপারেশন সরবকাফ’**। মনে করা হচ্ছে, এরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে টিটিপি ওই অঞ্চলে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য জঙ্গিদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং সীমান্তবর্তী অস্থিতিশীল অঞ্চলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সম্প্রতি ওই এলাকায় টিটিপির তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছিল।


গত সপ্তাহে বাজৌর জেলার লাঘারাই এলাকায় একটি থানায়ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন আহত হন। আহত কনস্টেবল মোহাম্মদ হাবিব ও স্থানীয় বাসিন্দা নাজিব খানকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণে থানার পাশে থাকা একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়