হাবিবুর রহমান হাবিবঃ
সাইফুল ইসলাম ২০০৫ সালে খালাসী পদে সৈয়দপুর কারখানায় যোগদান করেন। ২০১০ সালে পদ পরিবর্তন করে অফিস সহায়ক হন। ০৩(তিন) বছর সহায়ক হিসেবে কাজ করে অফিস সহকারি এবং০৫( পাঁচ) বছর কাজ করে উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতি নিয়ে সৈয়দপুর কারখানায় একক আধিপত্যে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অনেক সম্পত্তির নামে বেনামে মালিক বনে গেছেন ।
রংপুরে সিটি শহরে মাদ্রাসা গেট সংলগ্ন আলিশান দুতলা বাড়িও সৈয়দপুর শহরে আরো দুটি বাড়ি করে বাড়ি ভাড়া দিয়ে মাসিক লক্ষ লক্ষ টাকা ভাড়া আয় করছেন । তার বিরুদ্ধে দপ্তরের বিভিন্ন অভিযোগের আলোকে তাকে রেলওয়ে প্রশাসন ১২/১/২০ ২৫ তারিখে স্ট্যান্ড রিলিজ বদলি করে পাকশী ডিপিও অফিসে পদায়ন করেন। উক্ত বদলির আদেশ পরিপালন না করে মেডিকেল লিভ নিয়ে জিএম(পশ্চিম) সদ্য বিদায় মামুনুল ইসলাম এর মাধ্যমে বদলির আদেশ সংশোধন না করে পুনরায় সৈয়দপুর কারখানায় কাজে যোগ দেন।
সাইফুল ইসলামের এখন কর্মকান্ডের কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে এ ফরম দেন এবং তাকে তিরস্কার করেন। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পলাতক সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোকসেদুল মমিন এর কাছের লোক হিসেবে কারখানার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে প্রতিনিয়ত অনিয়ম কাজ করেছেন বলে নাম প্রকাশ না সত্বে একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ প্রতিবেদক কে জানান । সরকারের সুবিধাভোগী লোকগুলা একই স্থানে দীর্ঘ 20 বছর চাকরি করা এবং পদ পরিবর্তনের পর কিভাবে তিন বছর সময়ে অফিস সহকারী পদোন্নতি এবং উচ্চমান সহকারী পদোন্নতি গ্রহণ করে তা বিধি বৈধ নয়। একজন লোক ২০ বছর একই জায়গায় কিভাবে চাকরি করে বদলি আদেশ বাতিল করে কিভাবে চাকরিতে বহাল আছে তা প্রশাসনে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করেন দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ।
এ বিষয়ে জিএম পশ্চিম অতিরিক্ত দায়িত্ব কর্মকর্তার সাথে আলাপ করিলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং উক্ত কর্মচারী বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে তার বিরুদ্ধে বিড়ি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে বলে জানান।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর কারখানার ডি এস নূর মোহাম্মদ এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ কে যেকোন স্থানে বদলি করিলে ওই স্থানে আগে যোগদান করতে হয় পরে পুনরায় প্রশাসন তাকে বদলির আদেশ বিবেচনায় বাতিল করতে পারেন কিন্তু সাইফুল ইসলামের ক্ষেত্রে না ভিন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করি সাইফুল ইসলাম তার ক্ষমতা বলে উক্ত স্থানে যোগদান না করে তার বদলীর আদেশ বাতিল না করেন যাহা রীতিমত আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছেন।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলামের সাথে ফোনের যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।