মঞ্জুরুল ইসলাম লংগদু প্রতিনিধিঃ
তিন সন্তানের মা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রাবেয়া বেগম (৩০) ইলিয়াস হোসেনের (৪০) স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা। ঘটনাটি ২৫ এপ্লিল শুক্রবার রাঙামাটি লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়ের তিনব্রীজ বটতলা ডানে আটারকছড়ায় এলাকায় ঘটে৷
দর্শনের শিকার রাবেয়া বেগম জানান, রাত যখন তিনটা বাজে আমার দুই ছেলেকে নিয়ে ঘুমাচ্ছি কৌশলে আমার ঘরের দরজা খুলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করলে আমি বাঁধা দেওয়ায় আমার গলা চেপে ধরে গলায় বটিদা দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, আমার শরীরে আঘাত করে, আমি চিৎকার করলে আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। দর্শনকারীকে রাতের আধার চিনতে পারিনি মুখে গামছা বেঁধে আসছে। আমি জোরে চিৎকার করলে বাচ্চারা উঠে যায় এবং পাশের বাড়ির মানুষ আসায় আগেই তার মোবাইল ফেলে দৌড়িয়ে পালায়।
আরোও জানা যায় ধর্ষণের শিকার রাবেয়া বেগমকে লংগদু সদর হাসপাতাল থেকে রেফারাল করা হয়। বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় আছে।
পাশে স্থানীয় এক মহিলা জানান রাবেয়া বেগম ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, আনুমানিক রাত ৩ টার সময় রাবেয়ার ছেলের কান্না ও রাবেয়ার চিৎকার শুনতে পাই, আমি এগিয়ে আসি পরে এসে দেখি তাকে মারধর করা হয়েছে এবং শরীরে আঘাত ও গলায় ছুরির আঘাত দেখতে পাই। পরে তাকে সকাল ভোরে লংগদু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় মতে আরোও জানা যায়, রাবেয়ার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী কানে কম শোনো, তিনি রাঙামাটি শহরে দিনমজুরির কাজ করে দীর্ঘদিন যাবৎ। কোনো রকম দিন আনে দিন খায়।
তথ্য পেয়ে ২৮ এপ্রিল লংগদু থানার পুলিশ পরিদর্শক স্বরজিৎ কুমার ঘটনাস্থলে যান তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আমরা প্রকৃত দোষীকে সনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে আসামির রেখে যাওয়া মোবাইল জব্দ করা হয়েছে, এবং স্থানীয় মতে জানতে পেরেছি রাবেয়া বেগম ধর্ষণের শিকার হয়েছে, বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় আছে রোগী সুস্থ হওয়ার পরে থানায় মামলা নেওয়া হবে। এবং প্রকৃত আসামিকে সনাক্ত করে আইনিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।