বাইরে বের হলেই ত্বকে যেন তেল আর ধুলার আক্রমণ চিটচিটে, নিস্তেজ আর খসখসে এক অবস্থা। শীতের শুরুর এই সময়টা ত্বকের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বলা চলে। কারণ বাতাসে ধুলা-ময়লা যেমন বেড়ে যায়, তেমনই ত্বক হারায় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও সতেজতা। এ অবস্থায় ত্বকের যত্নে সহজ কিন্তু কার্যকর সমাধান হলো "স্কিন টোনিং"।
রূপবিশেষজ্ঞ জানালেন, কেন এই টোনিং এত জরুরি এবং কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়।
স্কিন টোনিং ত্বকের ভেতরের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে, ফলে মুখে ফিরে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও টানটান ভাব।
ত্বক পরিষ্কারের পর এটি কাজ করে দ্বিতীয় ধাপে "ক্লিনজিং-এর পর টোনিং" ক্লিনজিং ময়লা তোলার কাজ করে, আর টোনিং লোমকূপ গভীর থেকে পরিষ্কার করে ও ময়েশ্চারাইজারকে ধরে রাখে।
বিশেষ করে "তৈলাক্ত ত্বকের" জন্য এটি অপরিহার্য। কারণ এই ধরনের ত্বকে অয়েল গ্ল্যান্ড বেশি সক্রিয় থাকায় লোমকূপ বড় হয় এবং ধুলা সহজে জমে যায়। নিয়মিত টোনিং করলে সেই ময়লা দূর হয়, ত্বক হয় সতেজ ও ভারসাম্যপূর্ণ। এমনকি সাধারণ "ঠান্ডা গোলাপ জলও" হতে পারে এক দুর্দান্ত টোনার!
নিয়মিত এই অভ্যাসে ত্বক শুধু ফ্রেশই নয়, বরং দীর্ঘদিন উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে।
প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়মিত টোনিং করলে ত্বক শুধু উজ্জ্বলই নয়, বরং ভিতর থেকে হয় প্রাণবন্ত ও সজীব।
এই শীতের শুরুতে ত্বকের যত্নের রুটিনে তাই যোগ করুন একটি সহজ অভ্যাস "স্কিন টোনিং" প্রতিদিনের উজ্জ্বলতার গোপন রহস্য হিসেবে।