রোকন বিশ্বাসঃ
পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা বাজার এলাকায় ২২শে এপ্রিল মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।এসময় একটি অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল উৎপাদন কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।অভিযানকালে অননুমোদিত ভাবে ন্যাচারাল হেয়ার ওয়েল উৎপাদনের জন্য কেয়া ফুড কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এ মোট ৫০হাজার (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।এই অভিযান এর সময়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, থানা অফিসার ইন চার্জ সহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য,গত জুলাই ২০২৪ হতে আজকে পর্যন্ত ফরিদপুর উপজেলায় খাস জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদ, খাল পুনরুদ্ধার, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ইভ টিজিং রোধ, ধূমপান নিয়ন্ত্রণ,দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ,যানযট নিরোসন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান এর নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানাউল মোর্শেদ।গত ০৮ মাসে তিনি বিভিন্ন আইন যেমন- সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩, মৎস ও পশুখাদ্য আইন- ২০১০, ভূমি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭,স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন-২০০৯ ,সার ব্যবস্থাপনা আইন-২০০৬,মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন- ১৯৫০,বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২,অত্যাবশকীয় পন্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬,কৃষি বিপনন আইন-২০১৮,ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮,বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০,ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ সহ বিভিন্ন আইনে ৪৩ টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৮২ টি মামলায় ২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৮১ জনকে মোট ১৬লক্ষ৬৬হাজার ৫৫০/- টাকা অর্থদ্ণ্ড প্রদান করেছেন।জনস্বার্থ রক্ষায় প্রশাসনের এমন তৎপরতা প্রশংসিত হচ্ছে সচেতন মহলের মানুষের কাছে।
ডেমরা,রতনপুর অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দাবি প্রতিমাসে অন্তত তিন থেকে চারবার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল কারখানায় অভিযান পরিচালনা করলে অনেক অংশেই এই ফ্যাক্টরি মালিকরা জাল বানাতে ভয় পাবে,এতে আমাদের নদীর ছোট মাছও বড় হবে।এখন তো এই অবৈধ চায়না দুয়ারী জালের কারণে ঠিকমত নদীর বড় মাছই পাই না,ছোট মাছ ধরেই শেষ করে দিচ্ছে অবৈধ চায়না জাল দিয়ে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানাউল মোর্শেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এমন অভিযান শাস্তিমুলক নয়,বরং সর্তকতা ও সচেতনতা তৈরি এবং অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যেই পরিচালিত হয়ে থাকে।তবে স্থানীয়ভাবে সচেতন ছাড়া এমন অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়।সকলে যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় ও বিষয় গুলো ইতিবাচক হিসাবে দেখলে অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব,জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।