প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৫, ০৮:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমলের গুরুত্ব – ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ দশ দিন

ছবিঃ সংগ্রহীত।

ইসলামী হিজরি বর্ষের শেষ মাস জিলহজ, যা বরকতময় এবং ফজিলতে ভরপুর একটি সময়। পবিত্র হজ ও কুরবানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এই মাসেই আদায় করা হয়।

বিশেষত জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে অনেক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। মুসলিম উম্মাহর উচিত এই দিনগুলোতে বেশি বেশি ইবাদতে মনোযোগী হওয়া।


 জিলহজ মাসের শ্রেষ্ঠতা কুরআন ও হাদিসে

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন—

“শপথ ফজরের এবং দশ রাতের।”
? (সূরা আল-ফজর: ১-২)

 তাফসিরবিদদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এখানে “দশ রাত” বলতে জিলহজের প্রথম ১০ দিন বোঝানো হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“আল্লাহর কাছে এমন কোনো দিন নেই, যে দিনগুলোর মধ্যে সৎকর্ম করা জিলহজের প্রথম দশ দিনের চেয়ে অধিক প্রিয়।”
? (সহীহ বুখারি: ৯৬৯)


 জিলহজের প্রথম ১০ দিনের ফজিলতপূর্ণ আমলসমূহ

 ১. বেশি বেশি ইবাদত, যিকির ও তওবা করা

  • তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পাঠ করা।

  • কুরআন তিলাওয়াত

  • নফল রোজা রাখা (বিশেষ করে আরাফার দিনে)

 ২. আরাফার রোজা (৯ জিলহজ)

“আরাফার রোজা এক বছর আগের ও পরের গুনাহ মাফ করে দেয়।”
? (সহীহ মুসলিম: ১১৬২)

 ৩. কুরবানি করা (১০ জিলহজ)

“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় দিন কুরবানির দিন।”
? (আবু দাউদ: ১৭৬৫)


 কেন এই মাসে বেশি আমল করবো?

এই মাসে আমল করার গুরুত্ব অনেক বেশি, কারণ—

  • এটি হজের মাস

  • এই মাসে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগ স্মরণ করা হয়

  • এটি কুরবানির মাস

  • এটি আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মোচনের সুবর্ণ সুযোগ


 উপসংহার

জিলহজ মাস শুধু হজ বা কুরবানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি এক অপূর্ব ইবাদতের সময়, যাকে কাজে লাগালে একজন মুসলমান তার দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই উন্নত করতে পারে। তাই আসুন, এই বরকতময় মাসটিকে আমল ও ইবাদতের মাধ্যমে কাটাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়