মোঃ কামরুজ্জামান, লামা (বান্দরবান): ২৪ এপ্রিল/২৫
লামা-আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কের ইয়াংছা খালের উপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের কাজে মন্থরগতি। শুরু থেকে কাজের নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিয়েও ছিলো নানাহ প্রশ্ন। এপার্টমেন্টের নিচে খালের পাড় থেকে বালু তুলে দেয়া হচ্ছে এপ্রোচ সড়কে। এর ফলে বর্ষায় স্রোতে খালের পাড় ভেঙে ব্রিজের পশ্চিম অংশ ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিগত শতাব্দির আশির দশকে সড়কের ইয়াংছা খালের উপর সেনাবাহিনী একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে সড়কে অতিরিক্ত মালবোঝাই যানবাহন চলচলের ফলে ব্রিজটি ঝুঁকিতে পড়ে।
২০২২ সালে সড়ক বিভাগ একটি গার্ডার সেতু টেন্ডার করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেন। নির্মাণাধীন সেতুর কাজে বিদেশি পাথর কনার সাথে লোকাল পাথর মিক্সসহ শুরু থেকেই ধীরগতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে। সেতুর পূর্বদিকের অংশে এপার্টমেন্ট তৈরির কিছু দিন পরেই সরেজমিনে দেখাযায়, সেতু পশ্চিম অংশে এপার্টমেন্টের নিচে খাল থেকে বালু তুলে এপ্রোচ সড়ক ভরাট করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সন্ধ্যার সময় থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভেকু (স্কাভেটর) দিয়ে ব্রিজ লাগুয়া খাল থেকে বালু তোলা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে রোডস এন্ড হাইওয়ে বান্দরবান নির্বাহী প্রকৌশলী এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিঁনি বলেন, 'আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো'। বুধবার ২৩ এপ্রিল দুপুরে তিঁনি আরো বলেন, 'আমি দেড় মাস আগে এই জেলায় যোগদান করেছি, পূর্বে কি হয়ে; কাজে কোনো অনিয়ম ছিলো কিনা তা আমার জানা নেই'। কাজটির দরপত্র মুল্য কত জানতে চাইলে, দশ কোটি সামথিং বলে জানান তিঁনি।
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানকালে সওজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার বা কোনো দায়িত্বশীল লোক ছিলো না। স্থানীয়রা জানান, সাইটে নির্মাণ শ্রমিকেরা নিজেদের মতন করে কাজ করছন। নাঈম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের একজন ইঞ্জিনিয়ার সাইটে থাকেন, তবে সে প্রায়শই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকে। এর কারণ হিসেবে জানাযায়, নির্মাণ কাজে বিভিন্ন অনিয়মের জবাবদিহি এড়ানোর লক্ষে এমন লোক চুরি করছেন ইঞ্জিনিয়ার নাঈম। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নজর দাবি জানান স্থানীয়রা।