সাজেদুল হক প্রান্ত, রিপোর্টার
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে আলোচিত দুই ছাত্রীর আটক হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তাদের আটক করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) রাজধানীর জুরাইনে অভিযান চালালেও আটকের খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভেরিফাইয়েড ফেসবুকে এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ডিএমপির ওই পোস্টে বলা হয়, বনানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত ডিবি কর্তৃক দুই ছাত্রী আটকের ঘটনা সঠিক নয়।
এর আগে, পারভেজ হত্যার ঘটনায় দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। তারা হলেন- ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্রী ফাতেমা তাহসিন ঐশী ও ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।
গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে মিডটার্ম পরীক্ষা শেষে পারভেজ তার বন্ধুদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে একটি পুরি-শিঙাড়ার দোকানে দাঁড়িয়ে নিজের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা করছিলেন। তাদের পেছনেই দাঁড়ানো ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের দুই ছাত্রী ও তাদের বন্ধু প্রাইম এশিয়ার চার শিক্ষার্থী। তারা একপর্যায়ে পারভেজ ও তার বন্ধুর হাসাহাসি নিয়ে জানতে চান, কেন তাদের কটাক্ষ করে হাসাহাসি করা হচ্ছে।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসাস করে দেয়। তবে মীমাংসার পরেও বান্ধবীদের কাছে নিজেদের ক্ষমতা ও আধিপত্য দেখাতে তারা পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা ও হামলায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ছিল। সব মিলিয়ে হামলাকারী ১৫-২০ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ জনের নাম জানা গেছে। এরমধ্যে প্রধান আসামি মেহরাজ ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।