মোঃ দেলোয়ার হোসেন:
রাজধানীর বাড্ডায় রাজউকের ইমারত পরিদর্শক সোহাগের হালকা দায়িত্ব পালনই নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অন্য এক রুপে পরিণত হতে চলেছে এলাকার ভবন নির্মাণ চিত্রগুলো।এলাকা জুড়ে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের হিড়িক চলছে।রাজউকের মৌলিক উদ্দেশ্য বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে আইন না মানার প্রবণতা বাড়ছে।রাজউক পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের আগ্রহ কমছে। নিজেদের সুবিধা মতো নির্মাণ পরিকল্পনার দিকে ধাবিত হচ্ছে।রাজউক স্বার্থ আদায়ে কাজ না করে দায়সারা অফিস কর্মসময় পাড় করে বেতন সুবিধা ভোগ করছে।তার দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ড যে কতটা দুর্বল আর হতাশা জনক তা মধ্য বাড্ডা মোল্লা পাড়া,আদর্শ নগর,ময়নারবাগ,স্বাধীনতা স্বরণী,উত্তর বাড্ডা হাছান উদ্দিন সড়কের ভবন নির্মাণ চিত্র দেখলে অনুধাবন করতে সহজ হবে। নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে ইমারত পরিদর্শক শূন্য অঞ্চল এটা।একটি গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন পরিদর্শক ভবন মালিকদের সাথে আর্থিক আঁতাত করে তাদের সুযোগ করে দিচ্ছেন।যদি তিনি এমনটি না করেন তাহলে তার এমন দায়িত্ব পালনের কারণ কি?নির্মাণাধীন ভবনগুলোর নজরদারি নিয়ে পরিদর্শকের মাঝে যেমন দায়িত্ব শূন্যতা দেখা দিয়েছে তেমনি ইচ্ছাকৃত দায়িত্ব অবহেলাও রয়েছে।তার এমন ঢিলেঢালা কর্ম দায়িত্বের সুযোগে নকশার ব্যতিক্রম করে নির্মাণ কাজ করছে ভবন মালিকগণ।আইন ভঙ্গ করে ভবন নির্মাণ করলেও পরিদর্শকের উপর যেন কোন রকম দায় বর্তায় না।তাকে নকশা বহির্ভূত নির্মাণাধীন স্থাপনা নিয়ে অবগত করা হলেও তিনি তা আমলে নেয় না বলেও মৌখিক অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য।নকশা ভঙ্গ করা ভবনের বিষয়গুলো তাকে জানানো হলে তার কাছে এগুলো বিরক্তিকর কারণ বলে মনে হচ্ছে। অনেক সময় সরাসরি না বলে উদাহরণের মাধ্যমে তার বিরক্তবোধের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তার দায়িত্ব অনুযায়ী নকশা আইন ভঙ্গের দায়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা কার্যক্রম অনুসরণের চেষ্টা না করে মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন।একজন বাসিন্দা বলছেন,এই এলাকায় যে একজন ইমারত পরিদর্শক রয়েছে তা আমার মনেই হয় না।আমার জানা মতে শুধু এই এলাকায় প্রায় ২০ এর অধিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।এর মধ্যে অধিকাংশ ভবনের নির্মাণ অনুমোদন থাকলেও নকশার শর্ত যথাযথ ভাবে মানছে এমনটা বলার কোন সুযোগ নেই।কিন্তু ভবনগুলোর এমন ব্যত্যয় কর্মকাণ্ড দেখার জন্য একজন ইমারত পরিদর্শক তার দায়িত্ব অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেছেন গত ৬ মাসের মধ্যে আমার নজরে কখনো পড়েনি।ভবনগুলোর নির্মাণ দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে ইমারত আইন এই এলাকার জন্য প্রযোজ্য নয়।রাজউক তাদের আইনকে এই এলাকার জন্য শিথীল করে দিয়েছেন।অথচ গত দেড় বছর আগে আমার বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেছি।নকশা অনুসরণ করে নির্মাণ কাজ করছিলাম কিন্তু ভুলবশত আমার স্থাপনার একপাশে চট না থাকার কারণে আস্তর করার সময় পাশের বাড়ির টিনের চালের উপর সিমেন্ট বালুর অবশিষ্ট অংশ পড়ার কারণে তারা রাজউকে গিয়ে অভিযোগ করলে ইমারত পরিদর্শক এসে বাড়ির কাজ বন্ধ রাখতে বলে ।যদি কাজ চলমান রাখি তাহলে নাকি শর্ত ভঙ্গ করে অন্য বাড়ির ক্ষতি করার দায়ে আমার নির্মাণাধীন বাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে শতর্ক বার্তা দিয়ে যায়।তখন ভাবলাম রাজউক তাদের আইনকে বাস্তবায়ন করতে হয়তো এমন কঠোর নজরদারি প্রয়োগ করছে।অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে তাদের সেই কঠোর আইন প্রয়োগের হঠাৎ এমন নাজুক অবস্থা দেখে অবাক হতে হচ্ছে। তাদের কোন তদারকি নেই বললেই চলে।মূলত ইমারত পরিদর্শক চায় না বলে আইন মানছে না ভবন মালিকগণ।সর্বত্র জুড়ে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের দৃশ্য পরিদর্শকের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।পরিদর্শকের দায়িত্ব উদাসীনতার কারণে রাজউকের আইন প্রতিপালন চেষ্টা ব্যাহত হওয়ার চরম আশংকা দেখা দিয়েছে। তাকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলে মনে করছেন অনেকে।