রামগতি লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার দায়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ইটভাটা গুলো হচ্ছে চর আফজল গ্রামের তিশা ব্রিকস (মালিক মোঃ ছানা উল্যাহ) ৫ লাখ টাকা, মেসার্স রিয়াজ ব্রিকস (মালিক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন) ৫ লাখ টাকা, মেসার্স আমরী ব্রিকস (মোঃ আমির হোসেন) ৫ লাখ টাকা, মেসার্স রফিক ব্রিকস (মালিক মোঃ রফিক) ৫ লাখ টাকা, মেসার্স রফিক রফিক ব্রিকস (মালিক মোঃ মিজানুর রহমান) ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।এছাড়া গত দুই দিনে আরো সাতটি সহ মোট ১৪ ইটভাটা কে সাড়ে ৩৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ আমজাদ হোসেন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঝন্টু বিকাশ চাকমা।
গত শানিবার ও সোমবারের অভিযানে ও জরিমানা আদায় এবং গুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হচ্ছে, মেসার্স ফোর স্টার ব্রিকস (মালিক আবু তাহের - ৪ লাখ টাকা), মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস (মালিক গিয়াস উদ্দিন - ২ লাখ টাকা), মেসার্স শাহজালাল ব্রিকস (মালিক মো. দিদার - ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) এবং মেসার্স শাহ পরান ব্রিকস (মালিক মো. আকবর - ২ লাখ টাকা)। মেসার্স আমানত ব্রিকস (মালিক মোঃ নোমানকে৩ লাখ টাকা)। মেসার্স জেএস ব্রিকস (মালিক মোঃ সারোয়ারকে ২ লাখ ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা)। মেসার্স চৌধুরী ব্রিকস (মালিক মোঃ আলাউদ্দিন ২ লাখ ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা) জরিমানা করেন।
এ সময়, লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের রামগতি উপজেলা টিম ও রামগতি থানার পুলিশ সদ্স্যরা উপস্থিত ছিলেন। গুড়িয়েধ্বংস করা ও জরিমানা করা ইট ভাটাগুলো চর রমিজ ইউনিয়নের চর আফজল গ্রামের।
একই দিনে মহাসড়কের পাশে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বালু বিক্রয় এবং পরিবহণের অপরাধে আরও সাতজন বালু ব্যবসায়ী ও মোটরযান চালককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় সরকারি নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য তাদের কে সতর্ক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইটভাটা গুলোকে জরিমানা করা হয়। গত দুই দিনে যে সাতটি ইট ভাটাতে অভিযান পরিচালনা করা হয় তাদের কোনোটিরই পরিবেশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স নেই, মাটি সংগ্রহের অনুমোদন এবং ছিদ্রযুক্ত ইট উৎপাদনের কোন ব্যবস্থাপনা নেই।
ওই ভাটাগুলোর চিমনি ভেঙে দিয়ে ভাটার ক্ষতি সাধন ও কাচা ইট বিনষ্ট করা হয়। পরে সাতটি ইটভাটার মালিককে সাড়ে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও সতর্ক করা হয়েছে।