নিজাম উদ্দিন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ইভটিজিং বাল্যবিবাহ মাদক সেবীদের প্রতিরোধ এবং বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরীর উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। আজ ১৪ই মে সকাল ১০টা তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশটি হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর গেট থেকে শুরু হয়ে তেয়ারীগঞ্জ বাজার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইস্কুল গেটের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ করা হয়।
মানববন্ধনে হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মমিন উল্লাহ বলেন, বিদ্যালয়ের সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত একজন নৈশ প্রহরী রয়েছে। তার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এই এলাকায় কিছু মাদকসেবী ও বখাটে লোক রয়েছে যারা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামগ্রী নষ্ট করে থাকে। নৈশ প্রহরী এগুলোর বিষয় তাদেরকে নিষেধ করলেই তার উপর হামলা করে। তিনি বলেন বখাটেরা ও মাদকসেবীরা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে বলে, বলে বেড়াচ্ছেন।
তারা বিভিন্ন সময় নৈশ প্রহরীকে হুমকি দিচ্ছেন এবং মারধর করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৮ই মে বিদ্যালয় এর পানির টাংকির পাইপ লাইনসহ বিভিন্ন সামগ্রী নষ্ট করে এবং ৯ই মে শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকায় দেয়াল টপকিয়ে বিদ্যালয়ের প্রবেশ করায় বাধা দিলে তারা নৈশ প্রহরীকে গালিগালাজ করে। সন্ধ্যা ৬ টা এক দল সন্ত্রাসী দেয়াল টপকিয়ে ভিতরে ঢুকে নৈশ প্রহরীকে ছুরিতে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তার চিৎকারে লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মমিন উল্লাহ আরো বলেন বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে ও কিশোর গ্যাং সদস্যরা মেয়ে শিক্ষার্থীদের কে উত্যক্ত করার সময় যদি কোন ছেলে শিক্ষার্থী উত্যক্ত কারীদেরকে বাধা দেয় তখন কিশোর গ্যাং সদস্যরা ছেলে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে, তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। এ সকল বখাটে কিশোর গ্যাং সদস্যদের ভয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং অভিভাবকগণ ভীত সত্রস্ত হয়ে বাল্য বিবাহের মতো অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছেন।
এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে থাকায় সরকারি বিধি-বিধান বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পত্তি ও সার্বিক বিষয়ে বিধি অনুযায়ী দেখাশুনা করা লাগে। নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সবসময় সন্ত্রাসীদের মুখে পড়ি। তারা বিভিন্ন নামে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার থেকে চাঁদা দাবি করে।
এ সকল সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে যেকোনো সময় আমার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি এই সকল কর্মকান্ড থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছে। মানববন্ধনে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ হারুনুর রশিদ,সাবেক সভাপতি মোঃ শরীফ উদ্দিন মাহমুদ, ও বিশিষ্ট সমাজসেবক খন্দকার মাহফুজুর রহমান।