বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন যে, জাহান্নামে নারীদের সংখ্যা বেশি হতে পারে। তবে নারীরা সহজ কিছু আমল অনুসরণ করলে সহজেই জান্নাতের দরজা খুলে দিতে পারেন। সহজ চারটি আমলই নারীদের জন্য জান্নাতের চাবিকাঠি।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“আমাকে জাহান্নাম প্রদর্শন করা হয়েছে। সেখানে অধিকাংশ অধিবাসী নারী। তাদের একটি মূল কারণ হলো তারা স্বামীর সহমর্মিতা ও চেষ্টা উপেক্ষা করে। তুমি সারাজীবন তাদের জন্য সদয় ও দয়ালু আচরণ কর, কিন্তু তারা কোনো ছোট ত্রুটি দেখলেই বলে‘তোমার মধ্যে কখনোই ভালো কিছু পাইনি।’” (বুখারি)
নিঃসন্দেহে, একজন মুমিন মুসলিম নারী-পুরুষের সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষা হলো জান্নাত লাভ করা। আল্লাহ তাআলা কোরআনে এই সফলতার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন:
فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ
উচ্চারণ:“ফা মান জুহ্জিহা আনিল-নাার ও উদখিলাল-জান্নাতা ফাক্বাদ ফাজ”(সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৮৫)
অর্থ: “যাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে সত্যিই সফল।”
এই আয়াতের আলোকে, নারীদের জন্য বিশেষভাবে চারটি সহজ আমল অনুসরণ করা জরুরি:
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
এমন নারীর জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা খুলে দেওয়া হবে। (ইবনে মাজাহ)
এছাড়াও, স্বামীকে কষ্ট না দেয়ার বিষয়েও হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“যদি কোনো নারী তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুররা তাকে বলে ‘তাকে কষ্ট দিও না; সে তোমার কাছে শুধু একজন অতিথি। অচিরেই সে আমাদের মাঝে চলে আসবে।’” (তিরমিজি)
সুতরাং, নারীদের উচিত:
এছাড়া, আল্লাহর কাছে নিয়মিত প্রার্থনা করা উচিত:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ [সাহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৬০১]
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি ঝাহান্নাম[সাহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৬০১]
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জাহান্নামের আজাব থেকে, কবরের শাস্তি থেকে, জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষার ফিতনা থেকে, দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।” (মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলিম উম্মাহর নারীদের এই চারটি সহজ আমল যথাযথভাবে অনুসরণের তাওফিক দিন, স্বামীর আনুগত্য এবং জান্নাতের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।