সকালের শুরুটা হালকা আর স্বস্তিদায়ক করতে চাইলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। ধীর পাচন শুধু মেজাজই খারাপ করে না, সারাদিনের শক্তি ও উদ্যমকেও নিচে নামিয়ে দেয়। তবে চিন্তার কিছু নেই আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কয়েকটি সহজ উপাদান যোগ করলেই পাচনতন্ত্র সচল থাকবে আর মলত্যাগ হবে নিয়মিত। চলুন দেখে নেই, কোন কোন খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে।
১. ওটমিল
ফাইবারে ভরপুর ওটমিল সকালের সেরা নাস্তা। এতে আছে দু’ধরনের ফাইবার দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়। দ্রবণীয় ফাইবার পানি টেনে নিয়ে মলকে নরম করে, আর অদ্রবণীয় ফাইবার মলকে ভারী ও সহজে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। ফলে হজম হয় দ্রুত আর শরীর থাকে স্বস্তিতে।
২. আলুবোখারা
আলুবোখারা কোষ্ঠকাঠিন্যের পুরোনো ও পরীক্ষিত সমাধান। এতে থাকা ফাইবার ও প্রাকৃতিক সরবিটল হজমে আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে। সরবিটল হালকা রেচকের মতো কাজ করে মলকে নরম করে দেয়। সকালে কয়েকটি আলুবোখারা খেলেই পাচনতন্ত্রে টের পাওয়া যায় এর প্রভাব।
৩. চিয়া বীজ
ছোট্ট এই বীজগুলো হজমের জন্য দারুণ সহায়ক। চিয়া বীজে প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবার থাকে এবং এটি পানির ওজনের প্রায় ১০ গুণ পর্যন্ত শোষণ করতে পারে। ফলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয়, মল নরম হয় আর অন্ত্রের কাজ সহজ হয়।
৪. আপেল
“প্রতিদিন একটি আপেল, ডাক্তারকে দূরে রাখে” এই প্রবাদ শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয়, হজমের ক্ষেত্রেও একেবারে সত্যি। আপেলে আছে ফাইবার ও পেকটিন, যা প্রাকৃতিকভাবে মল নরম করে নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে।
৫. সবুজ শাকসবজি
পালং, লালশাক বা অন্যান্য সবুজ শাকসবজি পাচনতন্ত্রের জন্য আদর্শ। এগুলোতে আছে ফাইবার, পানি আর ম্যাগনেসিয়াম। বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম অন্ত্রের পেশি সংকুচিত করে প্রাকৃতিক রেচকের মতো কাজ করে। সকালের খাবারে সবুজ শাক যোগ করলে হজম হবে আরও সহজ।
নিয়মিত ওটমিল, শাকসবজি, ফল আর বীজজাত খাবার খাওয়া শুরু করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝামেলা দূরে থাকবে, আর সকালটা হবে হালকা আর প্রাণবন্ত।