প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরশুরামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এয়াকুব নবী রিয়াজ,পরশুরাম প্রতিনিধি:-

পরশুরামে মূহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জেলা প্রশাসন। পরশুরাম পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মো. এয়াছিন বাদী হয়ে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরশুরাম মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় শাপলা ট্রেডার্সের মীর আহমেদ চৌধুরী, ইমাম হোসেন সজীবসহ ৩২ জনসহ অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আইন অমান্য করে ১ নং আসামী ২ নং আসামীর সাথে একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে উক্ত বালুমহাল সাবলীজ প্রদান করেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত আসামিগণ জানুয়ারি পারস্পরিক যোগসাজশে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন কৌশলে স্থানীয় প্রশাসনের অগোচরে ইজারা বহির্ভূতভাবে ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায়। প্রায় ৯ লাখ ঘনফুট বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করে বিক্রির জন্য মূহুরী নদীর উভয় পাড়ে স্তুপ করে রাখে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে ও নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশের বিভিন্ন স্তরের মাটি সরে গিয়ে নদীর তীর ও কৃষকদের ফসলী জমি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আশে-পাশের বসত বাড়ী সমূহে ভাঙন সৃষ্টি হবার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থান থেকে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর

সহায়তায় প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের প্রচেষ্টা গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে প্রশাসনের অগোচরে আসামীগণ পুনরায় বালু উত্তোলন করে।

মামলায় বলা হয়, স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত স্থান হতে বর্ণিত আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন আসামী অবৈধভাবে ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলন করে রাখে ও বিক্রয় করে। যা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (সংশোধিত ২০২৩) সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।

গত ২৬ এপ্রিল পৌর এলাকার বাউরঘুমা, দক্ষিণ কাউতলী ও বিলোনিয়ায় বালুমহালে দিনভর অভিযান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক। অভিযানে অংশ নেয় বিজিবি, পুলিশ ও অনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। বালুর স্তুপগুলো চিহ্নিত করে লাল পতাকা টাঙিয়ে বালুগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। বিজিবি সূত্র জানায়, জব্দকৃত বালুর আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক জানিয়েছিলেন, যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করেছে জেলা প্রশাসন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়