মোজাহের ইসলাম নাঈম,
ব্যুরো চীফ নোয়াখালী :
বন্যায় সব হারিয়ে যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম, তখন প্রধান উপদেষ্টার সহানুভূতিশীল উদ্যোগ আমাদের মাথা গোঁজার একটি নিরাপদ আশ্রয় এনে দিয়েছে, যা আমাদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস স্যারের এমন উদ্যোগের জন্য আজীবন ঋণী থাকব।’
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগে বাস্তবায়িত ৯০টি আবাসনের প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঘরের চাবি পেয়ে এভাবেই অনূভুতি প্রকাশ করেন আয়েশা বেগম।
জানা যায়, নোয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামে ৩০০ পরিবারের জন্য ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এতে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৯টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । বন্যাকবলিত অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আবাসন প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্মিত ৯০টি ঘরের চাবি সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকার মিয়ারপোলের উত্তর হাজিপুর গ্রামে এক সুধী সমাবেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
নতুন মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া রওশন আক্তার বলেন, বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে জীবনের প্রতিটি দিন যখন ঝুপড়ি ঘরের অনিশ্চয়তা ও দুর্ভোগে কেটেছে, তখন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক উদ্যোগের ফলে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি। একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই, একটি স্থায়ী নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছি। যার জন্য ড. ইউনূস স্যারকে ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জানাই।
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল আরেফিন, নোয়াখালী সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রিফাত আনোয়ার, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।