বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সংশোধিত নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আজ ছিল খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি জানানোর শেষ দিন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে প্রায় ৩০টি আপত্তি। এসব বিষয়ে শুনানি হবে আগামীকাল।
তবে জমা পড়া আপত্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত একটি এসেছে তামিম ইকবালকে ঘিরে। ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে তামিমের মনোনয়ন নিয়ে আপত্তির আবেদন জমা পড়ে সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহর নামে। কিন্তু হালিম শাহ নিজেই জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো চিঠি তিনি দেননি। তিনি বলেন, “আজ আমি বোর্ডে যাইনি, কোনো চিঠিতেও সই করিনি। এটা কোথা থেকে এলো, আমি জানি না।”
আপত্তিতে দাবি করা হয়েছে,
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর না নেওয়ায় তামিম কাউন্সিলর হতে পারবেন না।
তিনি নাকি ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের সদস্য নন।
ক্লাব থেকেও তাঁকে কাউন্সিলর করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তামিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন, যা দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, আর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন না। ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদও আপত্তির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “তামিম শুধু আমাদের সদস্যই নন, তিনি যুগ্ম সম্পাদকও। তাঁকে কাউন্সিলর মনোনীত করার চিঠিতে আমি নিজে সই করেছি।”
তামিম ছাড়াও সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের কাউন্সিলর ফরম নিয়েও একাধিক আপত্তি এসেছে। নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৬টার পর, রাত সাড়ে ৮টায় তাঁর ফরম জমা পড়ায় অন্তত ৮-১০টি আপত্তি দাখিল হয়েছে। আপত্তিকারীদের দাবি, নিয়ম ভেঙে জমা পড়া ফরম গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে দুদকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৃতীয় বিভাগ থেকে উঠে আসা ১৫টি ক্লাবকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকেও আপত্তি জমা পড়ে। তাদের অভিযোগ, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে না।
নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে তিন সদস্যকে নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেইন, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কমিশনারই আপত্তি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।