ক্যাম্পাস প্রতিনিধি,ঢাকা কলেজ
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির নামই কি এখন ‘ঢাবি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রম’? এমনই প্রশ্ন তুলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ২০১৯-২০ সেশনের অনার্স ৩য় বর্ষ (২০২২ সনের) পরীক্ষায় অংশ নেওয়া গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই তাদের ২য় বর্ষের ইম্প্রুভমেন্ট পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। ২য় বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৪ সালের ১১ জুন। তবে দীর্ঘ ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেই ইম্প্রুভমেন্ট পরীক্ষার ফলাফল ৩য় বর্ষের মূল ফলাফলের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়নি। অবস্থার এমন অবনতি যে, ইতোমধ্যে ওই শিক্ষার্থীদের ৪র্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে (১৯ মার্চ, ২০২৫)। কিন্তু ২য় বর্ষের ইম্প্রুভমেন্টের ফলাফল এখনো অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, অনলাইন ফলাফল কিংবা অন্যান্য আবেদন সম্পূর্ণভাবে আটকে আছে।
বিশেষ করে, অন্যান্য বিভাগগুলোর ক্ষেত্রে গত বছরই এই সমন্বয় শেষ হলেও গণিত বিভাগ অনিবার্য কারণবশত সেই তালিকায় পিছিয়ে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারে ঘুরেও কোনো ফল পাননি। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে ব্যক্তিগতভাবে সমন্বয়ের আবেদন করেছেন, কিন্তু ফলাফল একই- ‘অপেক্ষা করুন’। চরম এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে গত মার্চে সোহরাওয়ার্দী কলেজের কিছু শিক্ষার্থী বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষের নজরে আনেন। অধ্যক্ষ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলে আশ্বাস আসে— এপ্রিলের মধ্যেই ফলাফল সমন্বয় করা হবে। কিন্তু বর্তমানে মে মাস চলমান, এবং এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য, ২০২৩ সনের অনার্স ৪র্থ বর্ষের সব বিভাগের ফল প্রকাশের পরই সমন্বয়ের কাজ শুরু হবে। ফলে, ২০১৯-২০ সেশনের গণিত বিভাগের ওই শিক্ষার্থীরা এখন সরকারি-বেসরকারি চাকরি আবেদন, উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
প্রশ্ন উঠছে -
১১ মাসেও একটি বিভাগের ফলাফল সমন্বয় না হওয়ার কারণ কী? কলেজ অধ্যক্ষ ফোন করার পরও কেন কোনো অগ্রগতি নেই? সর্বোচ্চ মাধ্যম থেকে ফোন দেওয়া হলেও ঢাবির এই স্থবিরতা কেন?
এসব প্রশ্নের কোনো সন্তোষজনক উত্তর আজও নেই কারো কাছে। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে - ঢাবি মানেই কি অপেক্ষা আর হয়রানির আরেক নাম?