কাতিক ঘোষ, ধামরাই (ঢাকা) থেকেঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ একজন মোটরসাইকেল মেকানিকের বিরুদ্ধে।বিষয়টি মিটমাটের দায়িত্ব নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে অপহরণকারী মোটরসাইকেল মেকানিকের এলাকার দুই মাতব্বরের বিরুদ্ধে। ওই দুই মাতাব্বর অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা প্রান্তিক সবজি ব্যবসায়ীকে থানা পুলিশের কাছে মামলা করতে না দিয়ে ঘরোয়া আপোষ মীমাংসায় বাধ্য করতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাইসা কান্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগাইল এলাকায়। এর আগে মঙ্গলবার বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে সকাল ৯ টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে ধানতারা বাজারের মোটরসাইকেল মেকানিক হৃদয় শিকদার ও তার সহযোগিতা। এরপর এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ওই ইস্কুল ছাত্রীকে রাগ কর ধর্ষণ করে মোটরসাইকেল মেকানিক হৃদয় শিকদার।প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পিতা ধামরাই পৌর শহরে কুমারাইল মহল্লার লল০ সবজি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন স্থানীয় লোকজন নিয়ে বুধবার সকালে অপহরণকারী ওই হৃদয় শিকদারের বাড়িতে যায়।
এ সময় অত্র এলাকার মাতব্বর মোহাম্মদ শহীদুর রহমান শহীদ ও মোহাম্মদ লাল মিয়া ভিকটিমের বাবাকে থানা পুলিশকে অবহিত না করার জন্য দারুন ভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। সেই সঙ্গে তারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করারও চাপ দেয়। হলে ওই ভুক্তভোগী পরিবার ধামরাই থানা পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ করার সাহস পাইনি বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে অপহৃত স্কুল ছাত্রীর বাবা সবজি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি স্থানীয় লোকজনের চাপে থানায় কোন মামলা মোকদ্দমা করতে সাহস পাচ্ছিনা। একজন মোটরসাইকেল মেকানিক আমার শিশু মেয়েকে অপহরণের পর আটকে রেখে তার সর্বনাশ করেছে। আমি নাই বিচার প্রার্থনা করছি। স্থানীয় মাতাব্বর আমার মেয়েকে আমার কাছে হস্তান্তর করছেন। বরং উল্টো মীমাংসার জন্য আমাকে নানাভাবে সব সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অপহরণকারী হৃদয় শিকদারের বাবা জিতেন শিকদার বলেন, আমার ছেলে হৃদয় শিকদার সত্যিই মস্ত বড় অপরাধ করেছে। এমন কাজ করা উচিত হয়নি। আমি আমার ছেলের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থ।আমি এর বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ তারেক বলেন, এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শালা পরামর্শ করে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।