প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মুসলমান পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব যান। তবে সৌদি সরকার প্রত্যেক দেশের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করে। এই কোটাভিত্তিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (OIC)-এর নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে— প্রতি ১০ লাখ মুসলিমের বিপরীতে ১,০০০ হজযাত্রী।
কোটা অনুসারে ২০২৫ সালে হজযাত্রী প্রেরণে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো:
কোটা: ২,২১,০০০ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ২৩ কোটি (৮৭%)
বিশেষ তথ্য: হজের জন্য ১৫–২০ বছর অপেক্ষারত; কঠোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ধর্মীয় প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক।
কোটা: ১,৮০,০০০ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ২২ কোটি
কোটা: ১,৭৫,০০০ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ২০ কোটি (১৪%)
বিশেষ তথ্য: ২০১৮ সাল পর্যন্ত হজ ভর্তুকি ছিল, পরে বাতিল হয়।
কোটা: ১,২৭,১৯৮ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ১৭.৩৫ কোটি (৯০%)
কোটা: ৯৫,০০০ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ৯.৫ কোটি (আফ্রিকায় সর্বাধিক)
কোটা: ৮৭,৫৫০ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ৮.২ কোটি (অধিকাংশ শিয়া)
বিশেষ তথ্য: সৌদি সরকার কোটা বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে।
কোটা: ৪১,৩০০ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ৪.১ কোটি (৯৯%)
বিশেষ সুবিধা: ভাষা ও সাংস্কৃতিক মিল থাকায় অতিরিক্ত সহায়তা পান হাজিরা।
কোটা: ৩৭,৭৭০ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ৮.৪ কোটি (৯৯%)
কোটা: ৩৫,৩৭৫ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ৯.৫ কোটি
বিশেষ তথ্য: অনেক মিসরীয় অনুমতি ছাড়া হজ পালন করে থাকে।
কোটা: ৩২,০০০ জন
মুসলিম জনসংখ্যা: ৩.৯ কোটি (৯৭%)
বিশেষ তথ্য: আর্থিক অসচ্ছলতার পরও বহু মুসল্লি হজে অংশ নেয়।
প্রতি ১০ লাখ মুসলিম নাগরিকের বিপরীতে ১,০০০ জন হজযাত্রীর অনুমতি
(উৎস: ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা - OIC)