ইউসুফ আলী
নাটোর প্রতিনিধি:
জাতির শেকড় সন্ধানী ঔপন্যাসিক শফীউদ্দীন সরদারের ৯০ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৫ সালের এইদিনে কথাসাহিত্যিক নাটোর জেলার অন্তর্গত নলডাঙ্গা উপজেলার হাটবিলা গ্রামে ১লা মে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
নাটোরে ম্যাট্রিকুলেশন পাশের পর রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স ও ডাবল এম এ ডিগ্রি লাভ করেন।এরপর তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশান ডিগ্রি অর্জন করেন। গুণী এই ব্যক্তিত্ব তাঁর কর্মজীবনে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। শিক্ষকতা করেন এবং ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও তিনি বেশ কিছুদিন চাকুরী করেছিলেন। ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখি বিশেষত কথা সাহিত্যের প্রতি তাঁর ব্যাপক আগ্রহ ছিলো। তিনি সবচাইতে বড় অবদান রেখেছেন ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায়। আমাদের এই বাংলা জনপদে যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বসবাস তাদের পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস কি তা অন্বেষণের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন ঔপন্যাসিক শফীউদ্দীন সরদার। তিনি বাংলার মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে ১৬টি উপন্যাসের মাধ্যমে জাতির সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন। এই উপন্যাস গুলো হলো বকতিয়ারের তলোয়ার, গৌড় থেকে সোনার গাঁ, যায় বেলা অবেলায়, বিদ্রোহী জাতক, বারপাইকার দূর্গ, রাজবিহঙ্গ, শেষপ্রহরী, প্রেম ও পূর্ণিমা , বিপন্ন প্রহর, সূর্যাস্ত, পথহারাপাখি , বৈরী বসতি, অন্তরে প্রান্তরে, দাবানল, ঠিকানা এবং অবৈধ অরণ্য।
শফীউদ্দীন সরদার তাঁর জীবনের মধ্য বয়সের পর থেকে ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখায় মনোনিবেশ করলেও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় বিচরণ শুরু করেছিলেন ছাত্র জীবন থেকেই। নাটক লিখায় এবং নাট্য অভিনয়েও দক্ষতার প্রকাশ ঘটে তখনই। মঞ্চনাটকে তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের কথা আজও অনেকে স্মরণ করেন। তাঁর প্রথম নাটক মীরজুমলা।
এই বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ২০১৯ সালের ১৪ফেব্রুয়ারিতে ৮৪ বছর বয়সে নাটোরে মৃত্যুবরণ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কথাসাহিত্যিক শফীউদ্দীন সরদার ফাউন্ডেশনের আয়োজন এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।