প্রায় সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ত্বকের চুলকানিতে ভুগেছেন। সাধারণ একটি বিষয় হলেও চুলকানি বেড়ে গেলে তা হয়ে ওঠে ভীষণ বিরক্তিকর ও অসহনীয়। অনেক সময় অনেকে তাড়াহুড়ো করে বিভিন্ন মলম বা ক্রিম ব্যবহার করেন, যা উল্টো ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। অথচ প্রাকৃতিক কিছু ঘরোয়া উপায়েই চুলকানি থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে খুব সহজেই ত্বকের ক্ষতি ছাড়াই চুলকানির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নিই কার্যকর কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার।
লেবু:
লেবুর রসে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা দ্রুত ত্বকের চুলকানি প্রশমিত করতে সক্ষম। ব্যবহার পদ্ধতিও খুব সহজ চুলকানির জায়গায় সামান্য লেবুর রস মেখে শুকাতে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরক্তিকর চুলকানি কমে গিয়ে ত্বকে আরাম অনুভব করবেন।
তুলসী পাতা:
তুলসী পাতায় থাকে ইউজেনল, যা একটি প্রাকৃতিক অ্যানেসথেটিক উপাদান। এটি চুলকানি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এক মগ ফুটন্ত পানিতে ১৫-২০টি তুলসী পাতা দিয়ে ভালোভাবে জ্বাল দিন। তারপর সেই নির্যাস একটি পরিষ্কার কাপড়ে ভিজিয়ে হালকা গরম অবস্থায় চুলকানির জায়গায় লাগান। বেশ দ্রুতই স্বস্তি মিলবে।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতাতেও আছে অ্যানেসথেটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা চুলকানির প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এক মগ ফুটন্ত পানিতে প্রায় এক আউন্স পুদিনা পাতা দিয়ে নির্যাস তৈরি করুন। এরপর সেই পানি চুলকানির জায়গায় লাগান। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরক্তিকর চুলকানি কমে যাবে।
অ্যালোভেরা:
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার সুনাম বহুদিনের। চুলকানি কমাতেও এটি দারুণ কার্যকর। একটি টাটকা অ্যালোভেরা পাতা কেটে ভেতরের জেল বের করে সরাসরি চুলকানিযুক্ত স্থানে লাগান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ত্বকে ঠাণ্ডাভাব ও স্বস্তি অনুভব করবেন, চুলকানিও কমে যাবে।
বেকিং সোডা:
ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ প্রশমিত করতে বেকিং সোডা অসাধারণ ভূমিকা রাখে। অল্প পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং তা চুলকানির জায়গায় লাগান। কিছুক্ষণের মধ্যেই চুলকানির অস্বস্তি দূর হবে।
ওটমিল:
ওটমিলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের জ্বালা ও চুলকানি কমায়। ওটমিল গুঁড়োকে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন বা পেস্ট তৈরি করে চুলকানির জায়গায় লাগান।
আপেল সিডার ভিনেগার:
আপেল সিডার ভিনেগারে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-সেপটিক উপাদান। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে তুলার সাহায্যে চুলকানির স্থানে লাগান। কয়েক মিনিট পর ধুয়ে নিলে ত্বকে আরাম মিলবে।
ঠাণ্ডা কমপ্রেস:
ঠাণ্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় বা বরফের প্যাক কয়েক মিনিট চুলকানির জায়গায় রাখলে প্রদাহ ও চুলকানি অনেক কমে যায়।